ছোট, মাঝারি শিল্পের জন্য কেন্দ্র সরকার থেকে লোন পাওয়ার পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আর এই সংক্রমণ থেকে দীর্ঘদিনের লকডাউন। সংক্রমণ আর লকডাউনের জেরে সংকটের মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিল্প সংস্থা। সংকটের মধ্যে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। আর সবথেকে বেশি সংকট হলো দেশের ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি। আর এই সকল শিল্প সংস্থাগুলির পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সে সকল পদক্ষেপের মধ্যে একটি হল দীর্ঘ সুবিধাযুক্ত লোন বা ঋণ দেওয়া।

আর এই সকল শিল্পগুলিকে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে গত ১লা জুন কেন্দ্র সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নানান পদক্ষেপ নেয়। আর সেই বৈঠকেই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা বদলের ক্ষেত্রে সিলমোহর বসে। সংজ্ঞা বদলের পাশাপাশি ঋণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। এই সকল শিল্প সংস্থাগুলিকে ঋণ দিতে পারবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, বাজাজ ফিনসার্ভ, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক।

লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করার পদ্ধতি

১) ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আধার নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।

২) আবেদন করার জন্য যেতে হবে কেন্দ্র সরকারের MSME-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://udyogaadhaar.gov.in তে।

৩) সেখানে হোম পেজেই থাকবে ‘UDYOG AADHAAR REGISTRATION FORM’ নামে একটি অপশন। যার নিচেই আধার নম্বর ও নাম দেওয়ার জায়গা।

৪) আধার নম্বর ও নাম দেওয়ার পর তার ঠিক নিচেই থাকা ‘Validate & Generate OTP’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

৫) পরবর্তী পর্যায়ে আপনার শিল্প সংস্থা সম্পর্কে যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সেগুলি দিতে হবে। আর দেওয়ার পর সাবমিট করে দিতে হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে সাবমিট করার সময় সমস্ত কিছু তথ্য পুনরায় যাচাই করে দেখে নিতে হবে যাতে কোথাও কোন ভুল যেন না থাকে।

৬) সবকিছু হয়ে গেলে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া যাবে। যে রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ভিত্তিতে লোন পাবেন।

লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে

১) MSME-এর আওতায় লোন পাওয়ার জন্য পরিচয় পত্র হিসাবে লাগবে ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, প্যান কার্ডের মধ্যে যেকোনো একটি।

২) ঠিকানায় পরিচয় পত্র হিসাবে দিতে হবে পাসপোর্ট, রেশন কার্ড, টেলিফোন অথবা ইলেকট্রিক বিল, ট্রেড লাইসেন্স, লীজ অগ্রিমেন্ট, সেলস ট্যাক্স সার্টিফিকেটের মধ্যে একটি।

৩) বয়সের প্রমাণপত্র দিতে হবে এই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে সরকার দ্বারা প্রদত্ত যেকোনো সচিত্র পরিচয় পত্র দেওয়া যেতে পারে।

৪) এর পাশাপাশি দিতে হবে এক বছরের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। দিতে হবে ব্যবসায়িক রেজিস্ট্রেশনের নথিপত্র, মালিকের প্যান কার্ড, সংস্থার প্যান কার্ড, পার্টনারশিপ ডিড কপি, সেলস ট্যাক্স ও মিউনিসিপাল ট্যাক্সের নথি এবং ব্যবসার শেষ দু’বছরের ব্যালেন্স শিট।