New Law For India: মেসেজে FIR, ১০ বছর জেল, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা! ভারতের চালু হল নতুন আইন

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঔপনিবেশিক যুগের পুরাতন ভারতীয় দন্ডবিধি, ফৌজদারী কার্যকলাপ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের অবসান ঘটলো সোমবার। সোমবার এই সকল পুরাতন আইনের অবসান ঘটিয়ে দেশে চালু হল নতুন আইন (New Law For India)। আজ থেকেই ভারতে ওই তিন পুরাতন আইনের বদলে চালু হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম।

ভারতের যে নতুন আইন জারি হল তার মধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার মধ্যে রাখা হয়েছে ৩৫৮ টি ধারা। যার মধ্যে যুক্ত হয়েছে নতুন ২০টি অপরাধ মূলক আইন। এছাড়াও ৩৩ টি গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে কারাদণ্ডের সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮৩ টি অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ আগের তুলনায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৩ টি অপরাধের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা বা ন্যায় সুরক্ষার মধ্যে ৫৩১ টি ভাগ রয়েছে। ১৭৭ টি বিধানের পরিবর্তন করা হয়েছে। সিআরপিসিতে রয়েছে ৪৮৪ ভাগ। এখানেই শেষ নয় এর পাশাপাশি নতুন ধারার সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৩৯ টি উপ ধারা। এই আইনে যুক্ত করা হয়েছে ৪৪ টি নতুন বিধান এবং স্পষ্টীকরণ। এই আইন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগের ১৪টি ধারা।

ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়মের আওতায় রাখা হয়েছে ১৭০ টি বিধান। বদলে ফেলা হয়েছে ২৪ টি বিধান। এর পাশাপাশি যোগ করা হয়েছে নতুন দুটি বিধান এবং ছয়টি উপবিধান। প্রতিনিয়মে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ছটি বিধান।

নতুন এই আইন জারি হওয়ার ফলে নতুন নিয়মের আওতায় খুব পরিচিত যে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে সাজা বা শাস্তি রাখা হয়েছে সেগুলি হল, গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটলে এবং সেই ঘটনায় যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, ন্যূনতম ৭ বছর জেল আর সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন 👉 Kolkata Bangladesh New Bus Route: সহজ হচ্ছে বাংলাদেশ ভ্রমণ, মমতার সায়ে চালু হতে চলেছে নতুন রুটে বাস পরিষেবা

১২ বছর বয়সের কম বয়সী নাবালিকা ধর্ষণ অথবা গণধর্ষণের ঘটনায় অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীদের যাবজ্জীবন জেল অথবা মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হতে পারে।

পরিচয় গোপন করে বিয়ে অথবা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মতো ঘটনায় অপরাধ প্রমাণিত হলে সাজা হিসেবে মিলবে ১০ বছরের কারাদণ্ড।

পণের দাবির জেরে যদি কোন মহিলার মৃত্যু হয় তাহলে এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ন্যূনতম সাত বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন জেল শাস্তি হিসেবে দেওয়া হতে পারে।

অপহরণ, ডাকাতি, মুক্তিপণ, সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা, ন্যূনতম সাত বছর জেল এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড জেলের সাজা ঘোষণা হতে পারে।

ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায় তিন বছর জেল ও জরিমানা, চিকিৎসায় গাফিলতির ক্ষেত্রে দু’বছরের জেল, সন্ত্রাসবাদের মত ঘটনায় যাবজ্জীবন জেল অথবা মৃত্যুদণ্ড (প্যারোলেন সুবিধা নেই), চালকের অসতর্কতাবশত দুর্ঘটনায় দু’বছর থেকে পাঁচ বছরের জেল এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মতো ঘটনায় সাত বছরের জেল হতে পারে। অন্যদিকে প্রথমবার ছোটখাটো অপরাধের ক্ষেত্রে কমিউনিটি সার্ভিস ব্যবস্থা করা হয়েছে।