নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বাড়ছে প্রতারণা। প্রতারকদের অজস্র প্রতারণায় তদন্তে নেমে সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক সাফল্য মিললেও বর্তমানে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘সিমবক্স’। এই ‘সিমবক্স’ এখন জামতাড়া গ্যাং-এর হাতেও চলে এসেছে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই কপালে ভাঁজ করতে শুরু করেছে প্রশাসন থেকে আমজনতার।
‘সিমবক্স’ আসলে একটি চাইনিজ যন্ত্র। এটি এক ধরনের সিম ব্যাঙ্ক। যেখানে শতাধিক সিম কার্ড ঢোকানো যায়। এর মূল কাজ হলো বিদেশ থেকে আসা অর্থাৎ আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কল হিসাবে দেখানো। এই যন্ত্র দ্বারা মূলত বিদেশ থেকে আসা কল বিভিন্ন সিম কার্ডের মাধ্যমে ডাইভার্ট করে লোকাল কলে রূপান্তরিত করে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ডাইভার্ট করার কাজ করা হয়। যার ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধকে সহজেই লুকিয়ে রাখা যায়।
শুধু তাই নয়, এই যন্ত্রের আরও গুরুত্ব রয়েছে। যেমন এই যন্ত্রের সাহায্যে টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করা অত্যন্ত কষ্টকর। পাশাপাশি সাধারণ কলের ক্ষেত্রে যে খরচ হয়ে থাকে এই যন্ত্রের মাধ্যমে সেই কলের খরচ অনেক কম হয়ে যায়। অন্যদিকে এই যন্ত্রের ব্যবহৃত সিম কার্ডের লোকেশন যেমন চিহ্নিত করা কষ্টকর ঠিক তেমনি সেই সকল সিম কার্ডের নম্বর ব্লক করাও কষ্টকর। যে কারণে অপরাধমূলক দুনিয়ায় এই যন্ত্রের যথেষ্ট কদর রয়েছে। জঙ্গিরা তাদের কার্যকলাপের জন্য এই ‘সিমবক্স’-এর ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে এই যন্ত্রকে বিভিন্ন আর্থিক প্রচারণার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি একাধিক আর্থিক প্রতারণা, যেমন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে তথ্য হাতিয়ে নিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এমন ধরনের চিনা যন্ত্র ‘সিমবক্স’ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। গত দু’দিন আগেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬ জন জামতাড়া গ্যাং-এর সঙ্গে জড়িত যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের থেকে সিম কার্ড, এটিএম কার্ড ইত্যাদি উদ্ধারের পাশাপাশি মিলেছে এই ‘সিমবক্স’।