নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের অষ্টম দফার ভোট গ্রহণ। আর এই ভোট গ্রহণের দিন মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং কলকাতার একাংশের পাশাপাশি বীরভূমের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। এই দিনটিতে অন্যান্য জেলাগুলিতে নির্বাচন হলেও সবার নজর কিন্তু বীরভূমের উপরেই। কারণ এ যে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গড়। ইতিমধ্যেই তিনি ভোটের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন।
তবে অনুব্রত মণ্ডল যেমন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু, ঠিক তেমনই দিনভর আরও একজনের উপর নজর থাকবে বঙ্গবাসীদের। তিনি হলেন আইপিএস অফিসার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী। ভোটের আগেই সদ্য তিনি বীরভূমের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে অভিজ্ঞ এই আইপিএস অফিসাকে একাধিকবার নিজের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে দেখা গিয়েছে। যে কারণেই তিনি বারংবার বঙ্গবাসীদের নজরে কেড়েছেন।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার প্রথম ভোটের সময় নজর কেড়েছিলেন ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। সে সময় তাঁকে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। তবে এই ভূমিকায় তাকে নিয়ে প্রশংসা এবং সমালোচনা দুই-ই হয়েছিল। ভোটের দিন বুথ দখল, বিশৃঙ্খলা তৈরি করা ইত্যাদির বিরুদ্ধে মাঠে নেমে এই দুঁদে পুলিশ অফিসার একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছিলেন। এই ঘটনায় তিনি প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি পুলিশ মহলে ‘দাবাং’ অফিসার নামে পরিচিত হন। তবে ঐদিনই এক দোকানদারকে চ’ড় মা’রার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়।
[aaroporuntag]
আর ভোট মিটে যাওয়ার পর দুঁদে এই পুলিশ অফিসারকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়ে দেন। সেই ঘটনাকে নিয়েও রাজ্য রাজনীতিতে চরম সমালোচনা তৈরি হয়। তবে এর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণের দিন ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী। তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন ঐদিন নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নম্বর বুথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে উত্তর দিয়ে। যেখানে এই আইপিএস অফিসারকে বলতে দেখা যায়, ‘ম্যাডাম খাকি পড়ে কোন দাগ নেবো না।’ উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অনেকেই তো দাগ নিয়েছে’ বললেও তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘ আমি নেবো না ম্যাডাম’।