শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : ‘একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর।’ এই হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি। একে তো করোনার জ্বালায় জেরবার বিশ্ববাসী তারপর আবার কখনও ডেল্টা কখনও ওমিক্রন একের পর এক নতুন প্রজাতির আগমন ঘটছে। বর্তমানে এমনতেই ওমিক্রন আতঙ্কে ভুগছে সবাই তার মাঝে আবার আর এক দুঃসংবাদ!
হাজির ‘ডেল্টাক্রণ!’ সাইপ্রাসের এক ভাইরোলজিস্ট-এর দাবি অনুযায়ী, ডেল্টা ও ওমিক্রনের মিলিতভাবে যেখানে এই দুই ভ্যারিয়েন্টের বৈশিষ্ট্যই বর্তমান রয়েছে তার নাম হলো, ‘ডেল্টাক্রন।’ যিনি এই নতুন স্ট্রেনের কথা সামনে এনেছেন তিনি হলেন ইউনিভার্সিটি অফ সাইপ্রাসের বায়োটেকনোলজি ও মলিকুলার ভাইরোলজি ল্যাবরোটরি বিভাগের প্রধান লিওনদিওস কোস্ত্রিকিস। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন নমুনাও তিনি পেয়েছেন। এই ডেল্টা ও ওমিক্রণের মিলিত স্ট্রেনটি। তিনি দাবি করেছেন, এর মধ্যে দুটি ভাইরাসের রূপই বর্তমান। তবে এর পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, এই ভাইরাস ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর তা এখনও স্পষ্ট নয়। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে যা জানা গিয়েছে বলা যায়,
১) লিওনদিওস এটিকে করোনার নতুন প্রজাতি রূপে দাবি করলেও বহু ভাইরোলজিস্ট এটিকে নতুন স্ট্রেন রূপে মানতে নারাজ।
২) সাইপ্রাসে বসবাসকারী ২৫ জন ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে।
৩) লিওনদিওস জানিয়েছেন, এই নতুন প্রজাতি ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেদিকে সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে।
৪) জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার অধিক।
৫) জিআইএসএআইডিতে এই ভাইরাসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সসিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে।
৬) এই ভাইরাস নিয়ে এখনও দ্বন্দ্ব বর্তমান, এটি করোনার নতুন রূপ নাকি ডেল্টা ও ওমিক্রনের মিলিত রূপ।
৭) বর্তমানে দেওয়া নামটিও স্বীকৃত নয়।
৮) এই প্রসঙ্গে এক বিশেষজ্ঞ টম পিকক জানিয়েছেন, এত দ্রুত অন্য একটি ভ্যারিয়েন্ট আসা সম্ভব নয় তাই এটি মিলিত রূপ হলেও হতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা এইরূপ সবরকম তথ্যকে মান্যতা দিতে নারাজ। কিছুদিন পূর্বে ফ্লোরিনা নামক এই প্রজাতি শোনা গেলেও হু-এর তরফ থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।