শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : সঙ্গীত দুনিয়ার সম্রাজ্ঞী যিনি এক যুগ ধরে সঙ্গীত জগৎকে তাঁর একের পর এক গানের দ্বারা প্রভাবিত করে গেছেন যার প্রভাব বর্তমান সময় পর্যন্ত সমানভাবে বিদ্যমান এবং আগামী কয়েক যুগ সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। সেই গানের জগতের রানী লতা মঙ্গেশকর আজীবন থেকে গেলেন অবিবাহিতা। জানা যায়, একসময় তিনি রাজস্থানের দুঙ্গারপুর রাজপরিবারের মহারাজা রাজ সিংহের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন।
তাঁর সময়কালীন তিনি যেভাবে বলিউড তথা আপামর জনতাকে তাঁর সুরের জাদুতে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন যেন তাঁর সুরের প্রেমে যেকোনো মানুষ পড়তে পারতেন সেই ক্ষমতা ছিল তাঁর। তবে এই সুরের সম্রাজ্ঞীর জীবনেও বসন্ত এসেছিল। প্রেমের আগমন ঘটেছিল।
দুঙ্গারপুর রাজপরিবারের মহারাজা রাজ সিংহ যিনি ছিলেন তৎকালীন একজন ক্রিকেটার সেইসঙ্গে তিনি সেই সময়কার ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ও ছিলেন। লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথের সূত্র মারফত তাঁর সাথে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছিল। ভাইয়ের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার দরুন লতা মঙ্গেশকরের সাথে তাঁর পরিচয় ঘটে।
যদিও সেই বন্ধুত্ব পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে গড়িয়েছিল। বাড়িতে আসার দরুন লতা মঙ্গেশকরের সাথে সম্পর্ক ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হতে থাকে রাজ্য সিংহের। দুজনেই দুজনের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন তবে বাধ সেধেছিল যখন ওই জুটি বিয়ের মত পদক্ষেপের কথা ভাবলেন। রাজ সিংহের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়েতে অমত করা হয়।
তৎকালীন সময়ে রাজ সিংহের বাবা মহা রাওয়াল লক্ষ্মণ সিংজি দুঙ্গারপুরে রাজত্ব করতেন। রাজা হওয়ার দরুন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি তাঁর ছোট ছেলের বিয়ে কোনোমতেই এখন সাধারণ বাড়ির মেয়ের সাথে হতে দেবেন না আর সেই কারণেই রাজ সিংহকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়েছিলেন যাতে কোনোদিন সে কোনো সাধারণ মেয়ে কে বাড়িতে বিয়ে না করে নিয়ে আসে।
প্রতিজ্ঞা করার সাথে সাথে রাজ সিংহ এও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন আজীবন অবিবাহিত থাকার। প্রেমের প্রতি এমন নিষ্ঠা সম্মান প্রদর্শন তিনি দেখিয়েছিলেন যার কারণে লতা মঙ্গেশকর আজীবন একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যেখানে তিনিও আর বিবাহের সিদ্ধান্ত নেননি ভবিষ্যতে। সেই সময় সারা বলিউড এক একনিষ্ঠ প্রেমের সাক্ষী হয়েছিলেন।