শুধু টাকা কামানো নয়, পড়ুয়াদের ৫০ হাজার টাকা স্কলারশিপও দেয় TATA! জানুন কীভাবে

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের যে সকল শিল্পপতিরা রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শিল্পপতি হিসেবে ধরা হয়, রতন টাটাকে (Ratan Tata)। শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তারের পাশাপাশি রতন টাটা এবং টাটা গোষ্ঠী (Tata Group) সবসময় দেশ ও দশের জন্য চিন্তা করে থাকেন। যে কারণে চিকিৎসা থেকে শিক্ষা বিভিন্ন খাতে টাটা গোষ্ঠী বিপুল টাকা খরচ করে দেশের বাসিন্দাদের জন্য।

বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি শিক্ষা খাতে পড়ুয়াদের আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করার জন্য টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে পড়ুয়াদের জন্য যে স্কলারশিপ দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে তার নাম হলো টাটা ক্যাপিটাল পাঙ্খ স্কলারশিপ (Tata Capital Pankh Scholarship)। এই স্কলারশিপের টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে টাটা ক্যাপিটেলের তরফ থেকে।

দেশে অনেক পড়ুয়া রয়েছেন যারা অত্যন্ত মেধাবী। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে তারা নিজেদের পড়াশুনো এগিয়ে নিয়ে যেতে না পেরে মাঝ রাস্তায় থামিয়ে দেন। এই সকল পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই এই স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। যে সকল পরিবারের বার্ষিক রোজগার ৪ লক্ষ টাকার কম সেই সকল পরিবারের পড়ুয়াদের এমন স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।

টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য এই যে স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই স্কলারশিপ ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের দেওয়া হয়ে থাকে। বছরের বিভিন্ন সময় বিজ্ঞপ্তি বের করে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যে সকল পড়ুয়ারা এই সুবিধা নিতে চান তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে তারা যদি যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হন তাহলে স্কলারশিপের টাকা পাবেন।

স্কলারশিপের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সবসময় ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেতে হবে এবং তার ভিত্তিতেই আবেদন করতে হবে। আবার যারা টাটা গোষ্ঠীর কোন কর্মী তাদের ছেলেমেয়েরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। পাশাপাশি কেবলমাত্র ভারতীয়রাই এমন একটি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যোগ্য পড়ুয়াদের ১২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০০ টাকা অথবা টিউশন ফি ইত্যাদি বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হয়ে থাকে।