নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে এখন ডিয়ার লটারির (Dear Lottery) রমরমা বাজার চলছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, প্রতিদিনই রাজ্যের কোন না কোন জায়গা থেকে কোন না কোন ব্যক্তি ডিয়ার লটারিতে প্রথম পুরস্কার পেয়ে লাখপতি কোটিপতি হয়ে উঠছেন। একের পর এক পুরস্কার দেখে অনেকেই লটারি কেনার নেশায় মজেছেন কোটিপতি হওয়ার লোভে। ঠিক একইভাবে কোটিপতি হওয়ার লোভে এক ব্যক্তি লটারি কিনেছিলেন, তার দাবি তিনি সেই লটারিতে প্রথম পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে প্রথম পুরস্কারের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে সান্ত্বনা পুরস্কার!
লটারি বিক্রি এবং লটারিতে পুরস্কার জেতার ইতিহাসে এমন ঘটনা সচরাচর নজরে আসে না। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটলো ওই ব্যক্তির সঙ্গে? ওই ব্যক্তি হলেন হাওড়ার মালি পাঁচঘড়া থানা এলাকার বাসিন্দা আলমগীর মন্ডল। তিনি ডিয়ার লটারিতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক কোটি টাকা পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তাকে এক কোটি টাকার পরিবর্তে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তি মালি পাঁচঘড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী অফিসাররা পুলিশি মধ্যস্থতায় যাতে টিকিটের আসল মালিক প্রথম পুরস্কার পান তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। তবে এমন ঘটনা ঘটলো কিভাবে? ওই ব্যক্তি কি এমন ভুল করেছিলেন যার জন্য তাকে এমন খেসারত দিতে হচ্ছে? যদিও পুরো ঘটনার সঙ্গে সংস্থা কোনরকম ভাবেই দায়ী নয় বলেই জানা যাচ্ছে।
যা জানা গিয়েছে তাতে আলমগীর মন্ডল WhatsApp এর মাধ্যমে বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন লটারির টিকিট কিনে থাকে। কাপড় ব্যবসায়ী আলমগীর মন্ডল শখের বসে এইভাবে টিকিট কেনার পর সেই টিকিট রেজাল্ট বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। তিনি আগেও অনেক ছোট বড় পুরস্কার পেয়েছেন। এরই মধ্যে গত দুদিন আগে লটারি বিক্রেতা গোপাল আগরওয়ালের থেকে নেওয়া একটি টিকিটের নম্বর মিলিয়ে তিনি দেখতে পান তাতে প্রথম পুরস্কার এসেছে।
কিন্তু আলমগীর মণ্ডল অভিযোগ করেছেন, তিনি যার দোকান থেকে টিকিট কিনেছিলেন তিনি সেই টিকিট নিজেই ভাঙ্গিয়ে প্রথম পুরস্কার হাতিয়ে নিতে চাইছেন। আর এর পরিবর্তে তাকে দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সান্ত্বনা পুরস্কার। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। তবে জানা যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত ওই টিকিটের টাকা ভাঙ্গানো সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে যারা টিকিট কিনছেন তাদের সাবধান থাকতে হবে যেন এই ভাবে তারা কোনদিন টিকিট না নেন। তাহলে কিন্তু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেও পারে।