অমরনাথ দত্ত : তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর, বর্তমানে যিনি প্রশাসক কমিটির সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে বহুতল নির্মাণে জন্য পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠলো। অভিযোগ করেছেন এলাকার প্রাক্তন এক সিপিআইএম কাউন্সিলর। এমনকি এটাও অভিযোগ যে জেলাশাসকের নির্দেশ সত্ত্বেও পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ হয়নি।
আইনবিরুদ্ধ ভাবে এমন পুকুর ভরাটের অভিযোগ বোলপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পুকুর এলাকার একটি পুকুরে। যে পুকুরটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে সেটি বাঁধগোড়া মৌজার অন্তর্গত। সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত এই পুকুরটি বেশ কয়েকদিন ধরে আবর্জনা এবং মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়ার কাজ চলছে।
অভিযোগ, বহুতল নির্মাণের জন্য এই পুকুরটি ভরাট করার কাজ চালানো হচ্ছে। পুকুর ভরাটের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে বোলপুর পৌরসভার ট্রাক্টর থেকে শ্রমিক। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আবর্জনা এনে ওই জায়গায় ফেলে ভরাটের কাজ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি এর পিছনে বোলপুর পৌরসভার প্রশাসক কমিটির সদস্য তৃণমূল নেতা ওমর শেখের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় প্রাক্তণ সিপিআইএম কাউন্সিলর সমীর ভট্টাচার্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু সহ জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বোলপুর মহকুমা শাসক এবং বোলপুর এসডিপিও-র কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলাশাসক এবং অন্যান্য আধিকারিকরা বোলপুর পৌরসভাকে ওই পুকুরটি দ্রুত সংস্কার করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তা সত্বেও একইভাবে পুকুর ভরাটের কাজ চলে আসছে বলে অভিযোগ।
যদিও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর পৌরসভার প্রশাসক সুশান্ত ভকত জানিয়েছেন, “আমি এই অভিযোগ পেয়েছি। পুকুরটিকে দ্রুত সংস্কার করার জন্য চিঠি দিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে, পাশাপাশি পুরো বিষয়টির ওপর আমি নজর রাখছি।”
যদিও এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ওমর শেখ জানিয়েছেন, “সমীর বাবু জানেন না কোনটি পুকুর, কোনটি খাল। যে জন্য তিনি এমনটা অভিযোগ করছেন। পুকুর ভরাটের কাজ আমরা করি না, তবে যেটি সম্পর্কে উনি বলছেন সেটি হল খাল। আর ওই খালটিতে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ পচা গলা জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে দেওয়াই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই তা ভরাট করছেন এটা সেটা ফেলে।”