হিমাদ্রি মণ্ডল : বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে চড়াও হয়ে লুটপাট, ভাঙচুর, এমনকি দুই কর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করে দাবি করা হয়েছে, সমস্তটাই সাজানো ঘটনা। এলাকায় কোন সংগঠন না থাকায় এরকম ঘটনা সাজিয়ে মানুষের মন পেতে চাইছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে সিউড়ি থানার অন্তর্গত কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের মেটে গ্রামে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, “রবিবার রাতে এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদি, সুকান্ত দাস, অশোক মন্ডলের নেতৃত্বে সদলবলে ৫০-৬০ জন তৃণমূলের লোকজন এসে জয়দেব মণ্ডল এবং দামোদর পালের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট চালায়। তারা বিজেপি করে বলেই তাদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ।”
বিজেপি কর্মী দামোদর পালের অভিযোগ, “গতকাল রাতে তৃণমূলের ওই লোকজন এসে জয়দেব মণ্ডলের বাড়ি থেকে জলের পাম্প তুলে নিয়ে চলে যায়। আমার বাড়িতে খাবার দাবার নষ্ট করে দিয়েছে, দুই তিন হাজার টাকা লুট হয়েছে, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি বর্তমানে বিজেপি করি বলেই এইভাবে আমাদের উপর চড়াও হয়েছে। এছাড়াও দুজন বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের ওই লোকজন তুলে নিয়ে চলে যায়।”
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের কোমা অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদি জানিয়েছেন, “বিজেপি নেতৃত্বের ক্যানেল পাড়ে যে সরকারি গাছ রয়েছে সেই গাছ চুরি হয়েছে গতকাল। এমনকি বিজেপি করে এমন দু’জনের বাড়িতে ওই গাছ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করছে। দুজনকে অ্যারেস্ট করেছে। কেউ নিখোঁজ হয়নি, কোন লুটপাট, ভাঙচুর চালানো হয়নি। কোমা গ্রামে বিজেপির কোন সংগঠন নেই। যে কারণে এই সকল ঘটনা সাজিয়ে বলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার চেষ্টা করছে।”
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় সিউড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ।