নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নিজেদের জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে একাধিক জনদরদি প্রকল্পের উদ্বোধন করে। এইসকল জনদরদি প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার।
রাজ্যের মহিলা ভোটারদের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্প নিয়ে আসে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত হওয়া মহিলারা মাসে মাসে ৫০০ অথবা ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা পেয়ে থাকেন মাসে মাসে ১০০০ টাকা এবং সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা পেয়ে থাকেন মাসে মাসে ৫০০ টাকা। মহিলাদের হাত খরচ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।
এবার এই প্রকল্প নিয়েই নয়া সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার ব্যয়ের পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করল। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়লো উপভোক্তাদের সংখ্যা। নতুন করে ২৩ লক্ষ আবেদনকারী মহিলাকে এই ও প্রকল্পের আওতায় নথিভূক্ত করা হয়েছে।
আগামী ৫ মে রাজ্যের তৃণমূল সরকার এর তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠনের পর এক বছর পূর্তি হতে চলেছে। এই বছর পূর্তি হওয়ার আগেই এই প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্য টাকা ঢুকে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্য সরকার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত মার্চ মাসের পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। উপভোক্তার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি মাসে ২৪০ কোটি টাকা খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এর ফলে এপ্রিল মাস থেকে রাজ্যের মোট ১ কোটি ৭৫ লাখ ১৯ হাজার ৫২২ জন মহিলা উপকৃত হবেন। এর পাশাপাশি উপকৃত হবেন তারাও যারা এই সকল পরিবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শেষ দুটি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মোট ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৬টি আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ২২ লাখ ১১ হাজার ২৪০ জনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। নথি না থাকার কারণে ৪৪ হাজার ৬৭৩টি আবেদনপত্র অনুমোদিত হয়নি।