Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডারের এক টাকাও ঢুকবে না! যদি থাকে এই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা সম্প্রতি দ্বিগুণ করা হয়েছে। এবার সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ১২০০ টাকা। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত টাকা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

এপ্রিল মাস থেকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যের সমস্ত উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা পৌঁছাতে দিন কয়েক সময় লাগবে। তবে সেই সকল উপভোক্তারা এক টাকাও পাবেন না, যদি তাদের একটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকে। কোন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের কথা বলা হচ্ছে চলুন দেখে নেওয়া যাক।

আমরা প্রত্যেকেই জানি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম না মানার জন্য সম্প্রতি পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার ফলে ওই ব্যাঙ্কের যে সকল গ্রাহক ছিল তাদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্ট এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। ওই সকল অ্যাকাউন্টে আর কোনরকম সরকারি বা বেসরকারি লেনদেন হবে না। সুতরাং যদি কোনো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার উপভোক্তাদের পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করা থাকলে তারা টাকা পাবেন না।

আরও পড়ুন 👉 Lakshmir Bhandar New Rules: বদলে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়ম, এখন আরও সুবিধা পাবেন উপভোক্তারা

তবে এই টাকা প্রদান পাকাপাকিভাবে বন্ধ হবে তা নয়। পুনরায় টাকা পাওয়ার জন্য উপভোক্তাদের নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করিয়ে নিতে হবে। এর জন্য অন্য কোন সরকারি অথবা বেসরকারি ব্যাঙ্কে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট করাতে হবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করাতে হবে। যতক্ষণ না এই কাজটি করা হবে ততক্ষণ টাকা পাওয়া যাবে না।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করার জন্য স্থানীয় ব্লক অফিস অথবা যে সকল সরকারি অফিসে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কাজ হয় সেখানে একটি আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি নতুন অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রমাণ সহ জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে পাশ বইয়ের প্রথম পাতার প্রতিলিপি অথবা বাতিল করা চেকবুক দেওয়া যেতে পারে।