নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র কয়েক মাস আগে লঞ্চ করা হয় e-Shram। এই নতুন ব্যবস্থাপনা এবং পোর্টাল লঞ্চ করার পর দেশজুড়ে চলছে এই e-Shram প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ। কেন্দ্র সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই প্রকল্পে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নেমেছিল ইতিমধ্যেই তার অর্ধেক পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রকল্পে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই e-Shram পোর্টালে ৪০ কোটির কাছাকাছি শ্রমিকের নাম রেজিস্ট্রেশন করার টার্গেট নেওয়া হয় প্রথম পর্যায়ে। লক্ষ্য করা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ১৮.৫৫ কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের নাম নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং তাদের e-Shram কার্ড রয়েছে। দেশের সবথেকে বেশি উত্তরপ্রদেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ৬.৭ কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা গত সোমবার পর্যন্ত নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
কেন্দ্র সরকার দাবি করছে, এই e-Shram পোর্টালে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা নিজেদের নাম নথিভূক্ত করলে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাবেন। সরকারি চাকরিজীবীরা বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন, অথচ অসংগঠিত ক্ষেত্রের এই কর্মীরা তেমন কোনো সরকারি সুবিধা অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তাদের এক ছাতার তলায় আনার জন্যই কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্প।
এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার পর সরকারের তরফ থেকে একটি ইউনিভার্সেল অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ একটি e-Shram কার্ড দেওয়া হবে। সেই কার্ড ভারতবর্ষের যেকোনো জায়গায় গ্রহণযোগ্য। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর নাম নথিভুক্ত করা কর্মীরা দু’লক্ষ টাকার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বীমা এবং এক লক্ষ টাকার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে বীমা পাবেন। এর পাশাপাশি এই কার্ড দেশে অতিমারির অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারে।
এই প্রকল্পের আওতায় নাম লেখানোর জন্য ২৬ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। এই প্রকল্পের আওতায় নাম লেখাতে পারবেন নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা যেমন রাজমিস্ত্রি, লেবার সহ অন্যান্যরা, পরিযায়ী শ্রমিক, ফুটপাত ব্যবসায়ী, ঘরোয়া কাজ করেন এমন কর্মীরা, দুগ্ধজাত দ্রব্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা, মৎস্যজীবীরা, গাড়ী চালক, চাষবাস সহ এই ধরনের কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন।