হচ্ছে না পৌষমেলা, তবে হবে বিকল্প মেলা, রইলো সূচী

নিজস্ব প্রতিবেদন : গতবছর করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ ছিল পৌষমেলা। তবে এই বছর সংক্রমণ কমতে শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশা তৈরি হয়েছিল পৌষমেলা নিয়ে। এই বছর পৌষমেলা হতে পারে এমন আশায় বুক বাঁধলেও বিশ্বভারতীর তরফ থেকে এযাবৎ কোনরকম টু শব্দ করা হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার জানিয়ে দেওয়া হল, ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা এই বছরও বাতিল।

তবে পৌষমেলা না হলেও বোলপুরে ঠিক পৌষমেলার সময় বিকল্প একটি মেলার আয়োজন করলো বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। এই মেলা আয়োজিত হবে বোলপুর ডাকবাংলো ময়দানে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানেই পৌষমেলার বিকল্প হিসাবে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

চলতি বছর পৌষমেলা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রথম থেকেই চলছিল টালবাহানা। মেলা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনরকম উচ্চবাচ্য না করায় বোলপুর পৌরসভা শান্তিনিকেতন পৌষমেলা ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেয়। যে চিঠির উত্তরে ট্রাস্ট জানিয়ে দেয়, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যদি মাঠ এবং জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে তাহলে তাদের মেলা করতে কোন আপত্তি নেয়। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দেয়নি।

ইতিমধ্যে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ বীরভূম জেলা পরিষদকে একটি আবেদন চিঠি করে মেলার আয়োজন করার জন্য। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যখন পৌষমেলা নিয়ে চুপ, তখন বীরভূম জেলা পরিষদ তাদের ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজনের অনুমতি দেয়। সেই অনুমতি পেয়েই মেলার আয়োজন করার ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শান্তিনিকেতনে।

ডাকবাংলো মাঠে যে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে সেই মেলা হয়তো পৌষ মেলার মত বড় হবে না। তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটবে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই পৌষমেলার সঙ্গে যেমন শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে, ঠিক তেমনই ব্যবসায়ী থেকে শিল্পী প্রত্যেকের রুজি-রোজগার জড়িয়ে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প এই মেলা কিছুটা হলেও সুরাহা হয়ে দাঁড়াতে পারে।