লাল্টু : কার ভাগ্যের চাকা কখন ঘুরবে কেউ বলতে পারে না। যেমন ভাগ্যের চাকা ঘোরার জ্বলন্ত উদাহরণ হলেন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর। কোথায় ছিলেন একজন ফেরিওয়ালা, আর সেখান থেকে এখন হয়ে দাঁড়িয়েছেন জনপ্রিয় ভাইরাল শিল্পী।
বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর রাতারাতি এইভাবে সেলিব্রিটি হয়ে ওঠেন তাঁর কাঁচা বাদাম গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর। এই গান ভাইরাল হওয়ার পর তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠান, রিয়েলিটি শো ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। আর সেখান থেকে যে রোজগার সেই রোজগার দিয়ে এখন তিনি তার শখ সাধ পূরণ করছেন।
মোটা অংকের টাকা হাতে আসতেই ভুবন বাদ্যকর একটি চারচাকা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনেন। তবে সেই গাড়ি চালাতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে পরে সেই গাড়ি বিক্রি করে দেন। একটু এরপর তৈরি করতে শুরু করেন নিজের শখের একটি পাকা বাড়ি। সেই পাকা বাড়ি তৈরির কাজ এখন এক প্রকার শেষের দিকে।
ভুবন বাদ্যকরের নতুন বাড়ির ডেকোরেশন ঝাঁ চকচকে হবে এমনটা আগেই জানা গিয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তার গেলে দেখা যায় বাড়ির ডেকোরেশন সত্যিই তাক লাগানো। কিনা নেই বাড়ির বারান্দার এই ডেকোরেশনে। যদিও ভুবন বাদ্যকরকে তার বাড়ির এমন ডেকোরেশন করার জন্য নিজের পকেট থেকে খরচ করতে হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
তার বাড়ির এই ডেকোরেশন করার জন্য কলকাতার এক শিল্পীর সঙ্গে তার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী এই শিল্পী তাঁর বাড়ি ডেকোরেশন করে দেবেন এবং পরিবর্তে ভুবন বাদ্যকর ওই শিল্পীর দেখানো অনুষ্ঠান মঞ্চে গান গাইবেন। হোয়াটসঅ্যাপ ভুবন বাদ্যকরের বাড়ির এই ডেকোরেশন করা হয়েছে গিভ অ্যান্ড টেক পলিসিতে। এখন দেখে নেওয়া যাক তার বাড়ির ডেকোরেশনে কি কি রাখা হয়েছে?
বাড়ির বারান্দা সাজানো হয়েছে ফলস সিলিং, বিভিন্ন রকম আলোর ব্যবস্থা, বিভিন্ন জায়গায় স্পটলাইট, হ্যারিকেন, মাদুর, হাতপাখা, কাপড়, গামছা সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে। বারান্দার এই ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন দেখে যে কারোর চোখ জুড়িয়ে যাবে। এর পাশাপাশি দেওয়ালে আঁকা হয়েছে ভুবন বাদ্যকরের ছবি। বারান্দার মেঝেতে মার্বেল বসানো। পাশাপাশি যে দুটো ঘর রয়েছে সেখানের মেঝেতে টাইলস বসানো। ওই ঘর দুটিতেও ফলস সিলিং করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ভুবন বাদ্যকর।