How trains run through one overhead cable: ভারতের বিভিন্ন গণ পরিবহনগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ভারতীয় রেল। সময়ের সাথে এতে পরিবর্তন ঘটেছে অনেক। যত দিন এগোচ্ছে রেল ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ ঘটছে অন্যান্য পরিবহণের মাধ্যমগুলির মত। প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কিন্তু পিছিয়ে নেই রেল, এসেছে আমূল পরিবর্তন। সম্প্রতি ভারতীয় রেলের বেশিরভাগ ট্রেন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের সাহায্যে চলছে এবং গতিও কিন্তু আগের থেকে অনেক বেশি হয়েছে। আপনি কি ভারতীয় রেলের অজানা তথ্যগুলি সম্পর্কে জানেন (Amazing fact about Train)?
বর্তমানে ভারতে ইলেকট্রিক এবং ডিজেল ইঞ্জিন উভয়েই চলে। যবে থেকে এদেশে ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ প্রবর্তন হয়েছে তারপর ডিজেল এবং ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ২ টো-ই ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না ট্রেনের ইলেকট্রিক ইঞ্জিন আসলে কিভাবে কাজ করে? এছাড়া, এটাও আশ্চর্যের যে একটি ট্রেন কিভাবে একটি তারের ওপর ভর করে চলে (Amazing fact about Train)? আজকের প্রতিবেদনে সেটাই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
আপনারা জেনে রাখুন (Amazing fact about Train) ডিজেল লোকোমোটিভে ইঞ্জিনের ভেতরে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। আবার ইলেকট্রিক ইঞ্জিন ওভারহেড তার থেকে বিদ্যুৎ পেয়ে যায়। ট্রেনের ওপরে যে প্যান্টোগ্রাফ থাকে তা ওপরে ইনস্টল করা বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ক্রমাগত ইঞ্জিনে বিদ্যুৎ স্থানান্তরিত করে। এখান থেকে সরাসরি মোটর পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছতে পারে না। প্রথমে সেটি যায় ট্রান্সফরমারে আর এই ট্রান্সফরমারের মূল কাজ হলো ভোল্টেজ বাড়ানো বা কমানো। ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নচ থাকে, যায় সাহায্যে ইঞ্জিনে বসে থাকা লোকো পাইলট এই কাজটি করে।
পরবর্তী পর্যায়ে সার্কিট ব্রেকার থেকে আউটপুট কারেন্ট ট্রেনের ট্রান্সফরমার এবং সেমিকন্ডাক্টরে ডিস্ট্রিবিউট করা হয়। সেখান থেকে অল্টারনেটিং কারেন্ট প্রথমে একটি ট্রান্সফরমারে পাঠানো হয় এবং এটি চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ স্থাপন করতে হয়। পরে অল্টারনেটিং কারেন্টকে রেকটিফায়ারে ট্রান্সফার করতে হয়। সেখান থেকে এটি ডাইরেক্ট কারেন্টে পরিণত হয়। পাশাপাশি ডিসি অক্সিলিয়ারি ইনভার্টারের সাহায্যে 3 ফেজ এসি-তে রূপান্তর করা হয়। এই কারেন্ট চাকার সাথে সংযুক্ত ট্র্যাকশন মোটরকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই পরিস্থিতিতে, মোটর ঘুরতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে চাকাগুলিও চলতে শুরু করে। এইসব যেনো একপ্রকার আশ্চর্য এবং এই বিষয়ে অনেকেই অবহিত নন (Amazing fact about Train)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনে দুই ধরনের প্যান্টোগ্রাফ (বিদ্যুৎ গ্রহণকারী ডিভাইস) ইনস্টল করা থাকে। চলমান ট্রেনের ইঞ্জিনগুলিতে স্বাভাবিকভাবে উচ্চ গতির প্যান্টোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি, ডবল ডেকার যাত্রীবাহী ট্রেন এবং পণ্যবাহী ট্রেনগুলিতে চলমান ইঞ্জিনগুলিতে হাই রিচ প্যান্টোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্যান্টোগ্রাফের আসল কাজ কি? সেতু কিংবা কালভার্টের কাছে ওভার হেড ওয়্যার (OHE)-এর উচ্চতা যদি কম থাকে তা সত্বেও ট্রেন কোনো বাধা (স্পার্ক) ছাড়াই চলতে থাকে এবং এটি তারের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।