দীঘা, পুরী অতীত! এবার নামমাত্র খরচে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছেই এই জায়গায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : উৎসবের মরশুমে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি আসছে আরও এক বড় ঘুরে বেড়ানোর মরশুম, আর তা হলো শীতকাল (Winter Season)। এই মরশুমে অনেকেই রয়েছেন যারা ঘুরতে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন জায়গা খুঁজেন। তবে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষই দীঘা, পুরীর মতো পর্যটন কেন্দ্রেই ঘুরতে যান। তবে বারবার একই জায়গায় গিয়ে একঘেয়েমি ভাব চলে আসে। সেই একঘেয়েমী ভাব দূর করতে এবার অল্প খরচে ঘুরে আসা যেতে পারে কলকাতা থেকে সামান্য দূরের একটি জায়গায়।

কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টা দূরে এই পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার কারণে খরচ খুব কম হবে তা বলাই বাহুল্য। কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা দূরের যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে তা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জায়গাটি হল কৈখালী (Kaikhali)। কৈখালী অবস্থিত মাতলা এবং নিমানিয়ার সঙ্গমে। যেহেতু এখানে মাতলা সাগরে মিশছে তাই এর বিস্তার অনেক বেশি। অন্যদিকে নিমানিয়া একেবারেই শান্ত রূপে এখানে দেখা যায়। তার ঢেউ নেই, পাড় ভাঙ্গার কোন অভিপ্রায় নেই। এই নদী এসে মিশেছে মাতলাতে। তারপর তারা চলে গিয়েছে সাগরের দিকে।

এখানে পর্যটকদের সুবিধার জন্য নদী পার ইট দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। দুই নদীর সঙ্গম এলাকা পর্যটকদের মন ভরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এখানকার ম্যানগ্রোভ পর্যটকদের আলাদাভাবে আকর্ষণ করে থাকে। পাশাপাশি এই এলাকা থেকে সামান্য দূরেই রয়েছে সাগরদ্বীপ। পর্যটকরা চাইলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন অনায়াসে। দীঘা, পুরীর মতো জায়গা যে সকল পর্যটকদের কাছে একঘেয়েমি জায়গায় পরিণত হয়েছে তারা আলাদা স্বাদ পেতে ছুটে যেতে পারেন কৈখালী।

কৈখালীতে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালিত কৈখালী পর্যটন আবাস। এখানে থাকার জন্য আগে থেকে রামকৃষ্ণ আশ্রমে যোগাযোগ করতে হবে এবং যাওয়ার সময় রামকৃষ্ণ আশ্রম থেকে কৈখালীতে থাকার অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে নিতে হবে। এছাড়াও কৈখালীতে থাকার জন্য রয়েছে ফার্ম স্টে।

যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুব সহজেই শিয়ালদহ স্টেশন থেকে পৌঁছানো যায় কৈখালী। এর জন্য শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যেতে হবে জয়নগর মজিলপুর। সেখান থেকে ট্রেকার, অটো অথবা ভ্যান ধরে জামতলা হাট হয়ে পৌঁছানো যাবে কৈখালী। ট্রেন ছাড়াও গড়িয়া-বারুইপুর-জয়নগর, মজিলপুর-নিমপীঠ হয়ে কৈখালী পৌঁছানো যেতে পারে সড়ক পথে।