Amazon Quick Commerce: চলতি বছরের শেষেই দেশে চালু হতে চলেছে অ্যামাজনের ক্যুইক কমার্স সার্ভিস

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Amazon Quick Commerce: বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতে রাজত্ব করছে একাধিক ক্যুইক কমার্স সার্ভিস কোম্পানিগুলো। তবে ভারতীয় মার্কেটে এদেরকে কড়া টক্কর দিতে খুব শীঘ্রই বাজারে নামতে চলেছে অ্যামাজন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, গ্রাহকদের আগামী বছর পর্যন্ত হয়তো অপেক্ষা করতে নাও হতে পারে। চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতেই হয়তো ভারতের বাজারে চলে আসবে অ্যামাজ়নের ক্যুইক কমার্স প্ল্যাটফর্ম।

Advertisements

তখন প্রতিযোগিতা আরো জোরদার হবে সেটাই স্বাভাবিক। সেই প্ল্যাটফর্মে এর কোডনেম তেজ। তেজ ভারতে ব্যবসা শুরু করলে, গোটা বিশ্বেই তা হবে অ্যামাজনে প্রথম ক্যুইক কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এই ব্যবসায় যদি একবার সাফল্য লাভ করতে পারে অ্যামাজ়ন (Amazon Quick Commerce) তাহলে করা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে স্যুইগি ইনস্টামার্ট, ব্লিঙ্কইট, জ়েপ্টোর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে।

Advertisements

আরো পড়ুন: ভারতীয় টাকার মূল্য আফগানিস্তানে কত, জানলে শিউরে উঠবেন

ভারত আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে আরও আধুনিকভাবে সাজিয়ে তুলেছে। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুনভাবে সেজে উঠেছে। ব্যস্ততার জীবনে ভারতীয় বাজারে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্যুইক কমার্সের চাহিদা। গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে এই সব কটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম একেবারে অনবদ্য। এ মাসেই এই সেক্টরের বৃদ্ধি ৫৫০ থেকে ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। এই বিক্রির সিংহভাগ দখল করে রেখেছে ব্লিঙ্কইট, জেপ্টো এবং স্যুইগি ইনস্টামার্টের মতো কোম্পানিগুলো। এই মজাদার প্রতিযোগিতার বাজারে নিজের জায়গা করে নিতে প্রস্তুত অ্যামাজন (Amazon Quick Commerce)।

Advertisements

আরো পড়ুন: পোস্ট অফিসের এই সমস্ত মহিলাদের জন্য তৈরি স্কিমে বাড়ল সুদের হার

অ্যামাজনের এই ক্যুইক কমার্স প্ল্যাটফর্ম ভারতে আসার কথা ছিল আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার বাজারে সময়ের আগেই হয়তো লঞ্চ হয়ে যেতে পারে অ্যামাজন কুইক কমার্স প্ল্যাটফর্ম। ডিসেম্বরে অ্যামাজন ইন্ডিয়ার বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে জানা গিয়েছে।

ক্যুইক কমার্সের মাধ্যমে গ্রাহকেরা আসলে কি কি সুবিধা লাভ করতে পারে? গ্রোসারি আইটেম থেকে শুরু করে স্টেশনারির মতো বিভিন্ন ধরনের জিনিস একেবারে বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে এই ব্যবসা যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। লক্ষ্য করে দেখবেন ই-কমার্স সাইটগুলিও দিনে দিনে পিছিয়ে পড়ছে ক্যুইক কমার্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায়। মর্গ্যান স্ট্যানলির রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ক্যুইক কমার্সের ব্যবসা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫০০ কোটি থেকে ৫৫০০ কোটি ডলারের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতার এই কঠিন পরিস্থিতিতে ই-কমার্সের পাশাপাশি ভারতে ক্যুইক কমার্স তাদের জায়গা করে নিতে প্রস্তুত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অ্যামাজন কিন্তু তার নতুন কুইক কমার্স প্ল্যাটফর্মের জন্য লোক নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।

Advertisements