The Ambanis’ Vantara Project for wild animals will make you proud too: তৈরি হলো ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র বনতারা (Vantara Project)। যেখানে অবলা প্রাণী উদ্ধার কার্য থেকে শুরু করে প্রাণীদের দেখাশোনা করা, চিকিৎসা করা, যত্ন নেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। যা গড়ে তুলল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। লুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সংরক্ষণ, পুনর্বাসন এবং তাদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য এই অভিনব উদ্যোগ। যার পিছনে রয়েছে মুকেশ আম্বানি পুত্র অনন্ত আম্বানি।
কোথায় গড়ে উঠেছে বনতারা সংরক্ষণ কেন্দ্র। অনন্ত আম্বানির উদ্যোগে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র বনতারা (Vantara Project) গড়ে উঠেছে গুজরাট রাজ্যের জামনগরে। প্রায় ২৫ হাজার একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই সংরক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে পশু-পাখিদের সংরক্ষণ করে খাঁচায় রাখা হয় না। তাদেরকে সবুজ সমারহে ছেরে রাখা হয়। তাদের জন্য তৈরি হয়েছে বড় বড় জলাশয়, পুল সবুজ ক্ষেত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের ব্যবস্থা। যারা রাজকীয় যজ্ঞের থেকে কম নয়। প্রতিটি প্রানীর জন্যই বিশেষ বিশেষ খাবার রান্না করা হয়। রয়েছে ১৫টি রান্নাঘর, প্রতিদিন তৈরি হয় প্রায় ১ টনের ও বেশি খাবার।
শুধু পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার বা থাকার ব্যবস্থা নয়, সংরক্ষিত প্রাণীদের শারীরিক সুস্থতার জন্য তৈরি হয়েছে একটি হাসপাতাল। যার নাম এলিফ্যান্ট হাসপাতাল। বন্যপ্রাণীদের চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে যেমন থেরাপি ইউনিট, ওজন মাপার ক্রেন, এক্সরে মেশিন সহ ওষুধ পত্রের দোকান।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই ২০০টিরও বেশি হাতিকে উদ্ধার করে বনতারায় আনা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম সংরক্ষিত হাতি গৌরী অনন্ত আম্বানি সহ আম্বানি পরিবারের সকলের পছন্দের হয়ে উঠেছে। তামিলনাড়ু সহ স্লোভাকিয়া, মেক্সিকো প্রভৃতি জায়গা থেকে আহত বহু পশু-পাখিদের উদ্ধার করে সংরক্ষণ করা হয়েছে বনতারায়। অনন্ত আম্বানীর এই উদ্যোগ বন্য পশু-পাখিদের জন্য যেমন সুবিধা এনেছে তেমনি বনতারা স্থানীয় অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করেছে।
কেন এমন উদ্যোগ অনন্ত আম্বানির? এ প্রশ্নের উত্তরে বনতারার অধিকর্তা অনন্ত আম্বানি জানিয়েছেন, ছোটবেলায় তাঁর বাবা তাদেরকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরতে নিয়ে যেতেন। আর সেখান থেকেই তাঁর পশু-পাখিদের প্রতি প্রেম এবং তাদের নিয়ে কাজ করার অত্যন্ত আগ্রহ জেগে ওঠে। আর তারই প্রমাণ এই বনতারা (Vantara Project)। বর্তমানে বন্যপ্রাণীদের নিজস্ব পৃথিবী হয়ে উঠেছে বনতারা। পাশাপাশি পরিবেশবিদ ও পশুপাখি গবেষকদের গবেষণার নতুন ঠিকানা হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পশু রেসকিউ সেন্টার বনতারা।