মফস্বল থেকে গ্রাম, বাড়ছে সংক্রমণ, মোকাবিলায় নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে ভয়ঙ্কর ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। এই সংক্রমণের গুন্ডি এখন শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে মফস্বল এবং গ্রামাঞ্চলে। যা সরকারের কাছে আরও বেশি চিন্তাদায়ক হয়ে পড়েছে। চিন্তার অন্যতম কারণ হলো ভারতের মতো দেশে অধিকাংশ মানুষই গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। আর এই পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য রবিবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হলো।

Advertisements

১) গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকাতেই উপসর্গহীন অথবা মৃদু উপসর্গদের হোম আইসোলেশন করা সম্ভব নয়। এই দিকটির গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কমকরে ৩০ বেডযুক্ত কোভিড কেয়ার সেন্টার অথবা সেফহোম তৈরি করতে হবে।

Advertisements

২) গ্রামীণ এলাকায় করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং হাঁপানি সংক্রান্ত রোগীদের খবরা-খবর রাখতে হবে আশা কর্মীদের।

Advertisements

৩) এই সকল এলাকায় বিশেষ করে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে।

৪) করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ৬ ফুটের মধ্যে বিনা মাস্কে থাকা ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।

৫) গ্রাম্য এলাকায় জ্বর, শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের ফোন মারফত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে হবে। তবে যাদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটাই কম তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

৬) আশা কর্মীদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিমিটার এবং থার্মোমিটার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। পাশাপাশি আশা কর্মীদের খেয়াল রাখতে হবে একবার ওই অক্সিমিটার এবং থার্মোমিটার ব্যবহার করার পর তা যেন স্যানিটাইজ করা হয়।

[aaroporuntag]
৭) হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্তদের ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল, কাশির ওষুধ, মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।

Advertisements