China: চীনের নজর এসে পড়ল বাংলার মালদহের উপর। বাংলাদেশের এই অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে এই কথা শুনলে ভয় ধরার কথা অস্বাভাবিক নয়। তবে এর ব্যাখ্যা শুনলে তা কিছুটা আনন্দই দেবে। বাংলাদেশের অস্থিরতার প্রভাব ব্যাহত হয়েছে রপ্তানি ব্যবসা। এবার সেই জন্যই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথে চীনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হলো। জানা যাচ্ছে নতুন ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য মালদহের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই চীনে গিয়ে আলোচনা সেরে ফেলেছেন।
কূটনৈতিক সম্পর্কের টানা পোড়েন চললেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বেশ ভালো ভারত ও চীনের (China) মধ্যে। যদিও ভারত ক্রমাগত চেষ্টা চালাচ্ছে চীনের উপর থেকে নির্ভরতা কমানোর। রিপোর্ট বলছে গত আর্থিক বছরে ভারতের ব্যবসায়িক বড় পার্টনার ছিল চিন। তথ্য অনুযায়ী এই দুই দেশের মধ্যে ১১৮.৮ বিলিয়ন ডলার টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এর পরেই রয়েছে আমেরিকা। এই দেশের সাথে ভারতের বাণিজ্য হয়েছে ১১৮.৩ বিলিয়ন ডলার। এবার এই ব্যবসায়িক লেনদেনের অংশ হতে চলেছে মালদহ।
তবে আম নয়, আম গাছ নিয়ে চলছে আলোচনা। জানা যাচ্ছে আম গাছের কাঠ থেকে যেই মানের প্লাইউড তৈরি করা যায় তা অন্য কোনো গাছ থেকে তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই এর উৎকৃষ্টতা নজর কেড়েছে চীনের (China)। এর থেকেই এসেছে চীনে ব্যবসায়িক লেনদেনের সুযোগ। ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকার টার্ন ওভার এসেছে মালদহ থেকেই। যার কারণ আম বাগানের। গোটা দেশের মধ্যে মালদহেই এক মাত্র বেশি আমের বাগান রয়েছে। ফলে গত দুই-তিন বছরেই মালদহে গড়ে উঠেছে একাধিক প্লাইউডের কারখানা।
আরও পড়ুন:Vande Bharat Express: মাত্র ১৩ ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে কাশ্মীরে, থাকছে একাধিক সুবিধা
এর কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে আম গাছের থেকে তৈরি প্লাইউড যেমন ইচ্ছে আকৃতি দিতেও যেমন সহজ তেমনই এটি শক্তপোক্ত এবং ভালো টেকসই হয়। তাই সহজেই প্রযুক্তি বা আসবাব বানানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় এই প্লাইউড। এর আগে মালয়েশিয়ার প্লাই খুব বিখ্যাত ছিল। কিন্তু প্রযুক্তি এবং আসবাব বানানোর ক্ষেত্রে তার ব্যবহার যোগ্যতার প্রমাণ মেলেনি সেই জন্যই চীনের (China) নজর এসে পড়ল ভারতের এই শহরে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার মালদহের প্রতিনিধি দল ঘুরে এসেছে চীন থেকে।
ওই দলের সদস্য দুলাল সরকার জানান মালদহে অনেক এমন কারখানা আছে যা দিল্লি বম্বের মতো শহরে নেই। চীন সারা পৃথিবীতে বাণিজ্য করে তাদের মার্কেটও অনেক বড়। ওদের আমগাছ নেই তবে গাছ বসাচ্ছে। আর সেই জন্যই মালদহ ও মুর্শিদাবাদ থেকেই এবার ভারতের এক কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। এই বিষয়ে চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্তী কুন্ডু জানান বাংলাদেশের অশান্তির কারণে কমে গিয়েছে রপ্তানি। আর এই জন্যই ভারত ও চীনের (China) ব্যবসায়িক সম্পর্কে আরও উন্নতি হয়েছে। দিল্লি হয়ে আমকাঠ পৌঁছে যাচ্ছে চীনে। গত বছরেই ১০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। ব্যবসা আরও সুদৃঢ় করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উভয়ই সচেষ্ট রয়েছেন।