দিন কয়েক আগে পাক সীমান্তে হিন্দু মন্দিরের সূচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এবার নাকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pak Occupied Kashmir) সারদা পীঠ (Shrada peeth) হিন্দু তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে কেন্দ্র। তবে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control) পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তীর্থযাত্রা করতে যেতে পারবেন হিন্দু তীর্থযাত্রীরা সে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে সব জায়গায়।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফারা বাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নিলাম উপত্যকায় রয়েছে ১৮ টি মহা শক্তি পিঠের একটি সারদাপীঠ এবং সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Sharda University) ধ্বংসাবশেষ। সুলতানি এবং মুঘল আমলে এশিয়ার অন্যতম সেরা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র ছিল এই পীঠ তথা বিশ্ববিদ্যালয়।
পরবর্তীকালে প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন বিদেশীদের আক্রমনে ধ্বংস হয়ে যায়। আর বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চান হিন্দু ধর্মের এই তীর্থস্থান আবার নতুন করে উন্মোচন করতে। কাশ্মীরের কুপোয়ারা জেলার গ্রামে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তৈরি হয়েছে এই সারদামন্দির।
গত সপ্তাহেই ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে ওই মন্দিরটির উদ্বোধন করেন অমিত শাহ। আর তিনি তখনই জানান, নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে যে সারদা মন্দির আছে সেই মন্দির নববর্ষের পরই উদ্বোধন করা হতে পারে। তবে তিনি চেষ্টা করবেন হিন্দু তীর্থযাত্রীরা যাতে সেই মন্দির পরিদর্শনে যেতে পরে।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অমিত শাহ নিজেও জানেন POK-তে হিন্দু তীর্থস্থান খোলার কাজটা বেশ কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সামনেই কাশ্মীরে নির্বাচন। আর তাতে মূলত হিন্দু ভোটারদের টার্গেট করেই এগোচ্ছে বিজেপি। শাহর এই প্রতিশ্রুতিও মূলত হিন্দু ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে রাজি হবে কিনা সেটি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।