নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী রবিবার দুপুরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন, বোলপুরে বাউল শিল্পী বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া এবং রোড শো করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আর এই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বাংলার উন্নয়নকে ধাক্কা দেন। যে মমতা সরকার বারংবার উন্নয়নের কথা তুলে ধরছে সাধারণ মানুষদের সামনে সেই উন্নয়ন কি আদৌ সত্য! তারই উত্তর এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দিতে দেখা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ অভিযোগ করেন, “বাংলা প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়তে পড়তে এখন শেষের দিকে প্রথম তালিকা এসে পৌঁছেছে। এখানকার সরকার যে বারংবার উন্নয়নের কথা তুলে ধরছে তা পরিসংখ্যানের সাথে কোনভাবেই সামঞ্জস্য রাখে না। স্বাধীনতার পর বাংলা সব দিক থেকে এগিয়ে ছিল। কিন্তু বর্তমানে সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। আর্থিক দুরবস্থার জন্য দায়ী বাম এবং তৃণমূল দুই সরকারই। তবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতি এবং অন্যান্য বিশৃঙ্খলা ঘটনায় সবার শীর্ষে পৌঁছে গেছে।
পাশাপাশি অমিত শাহ এদিন, বহিরাগত প্রসঙ্গেও তৃণমূল সরকারকে কড়া জবাব দিয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার শাসনে আসবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন পশ্চিমবঙ্গের কোন এক ভূমিপুত্রই। চিন্তার কোনো কারণ নেই।” তার কথায় যখন কংগ্রেসের সাথে জোট করে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে শাসনে এসেছে তখন কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা যখন রাজ্যে আসতেন তখন কি তারা বহিরাগত ছিলেন না! এই বহিরাগত প্রসঙ্গে অমিত শাহ তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “সংকীর্ণ মনের সরকার তৃণমূল। দেশের এক রাজ্যের মানুষ আর এক রাজ্যে যাওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। আর এই সংকীর্ণ সরকার হয়তো তা চান না।”
প্রশ্নোত্তরের মাঝেই উঠে আসে NRC এবং CAA প্রসঙ্গ। কবে নাগরিকত্ব আইন চালু হবে? আর এই প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, “নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ম এখনো তৈরি হয়নি। করোনার কারণে এত বড় কর্মসূচি পিছিয়ে গেছে। করোনার টিকা বিতরণ শুরু হওয়ার পর এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে।” একই আভাষ দেন তিনি NRC প্রসঙ্গেও।
অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, এখনই দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হচ্ছে না অথবা এনআরসির মত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ হচ্ছে না। এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করোনার টিকা বিতরণ শুরু হওয়ার পর লাগু নিয়ে আলোচনা হবে বলেই আভাস দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।