নিজস্ব প্রতিবেদন : শনিবার দেশে প্রথম পথ চলা শুরু করল অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন (Amrit Bharat Express)। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে দুটি ট্রেনের শুভ সূচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি ট্রেন যাতায়াত করবে দ্বারভাঙ্গা থেকে অযোধ্যা হয়ে আনন্দ বিহার টার্মিনাল এবং অন্যটি যাতায়াত করবে মালদা টাউন থেকে এসএমভিটি বেঙ্গালুরু। নতুন এই ট্রেন নিয়ে প্রথম থেকেই দেশের মানুষদের মধ্যে ছিল চরম কৌতূহল।
অমৃত ভারত ট্রেনটিতে কোন এসি কামরা থাকবে না তা প্রথম থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফ থেকে। তবে এর পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধা থাকবে যা অন্যান্য সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনে নেই বলে জানানো হয়েছিল। ট্রেনের সূচনা হওয়ার পর ঘোষণা অনুযায়ী দেখা যায়, অন্যান্য এক্সপ্রেস অথবা মেইল ট্রেনের থেকে এই ট্রেনটি একেবারেই আলাদা। রং থেকে শুরু করে ট্রেনের অন্দরমহলের বিভিন্ন জায়গায় নানান পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এই ট্রেনের কামরায় সুরক্ষার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে অন্যান্য অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও ট্রেনের সাইড আপার বার্থ নেই। সেই জায়গায় যাত্রীদের লাগেজ রাখার জায়গা করা হয়েছে। রাখা হয়েছে উন্নত মানের টয়লেট ইত্যাদি। তবে জানেন কি, এই ট্রেনটিতে এমন এক বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে যা রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দি এক্সপ্রেসের মত ট্রেনেও নেই।
অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সেই সুবিধা হল সেমি ফিক্সড কাপলিং। দেশের প্রথম কোন ট্রেনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এখন প্রশ্ন হল এই সেমি ফিক্সড কাপলিং আসলে কি? অন্যান্য যেকোন ট্রেনকে ছোট বড় করা যায়। কাপলিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রেনের বগি একে অপরের সঙ্গে জোড়া হয়। প্রয়োজন পড়লে কোন বগিকে ট্রেন থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় অথবা নতুন বগি জুড়ে দেওয়া হয়। এই কাপলিং ব্যবস্থার কারণেই যখন ট্রেন দ্রুতগতিতে ছোটে অথবা থামে তখন ঝাঁকুনি অনুভূত হয় কামরায়।
কিন্তু অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলি আলাদা করা যাবে না। অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলিকে সেমি ফিক্সড কাপলিংয়ের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলেই ট্রেনের কামরায় অন্যান্য ট্রেন এমনকি রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য ট্রেনের মত ঝাঁকুনি অনুভব হবে না। এছাড়াও ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করার জন্য এবং ঝাঁকুনি আরও কমানোর জন্য অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে এবং পিছনে আলাদা আলাদা দুটি ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে।