হাতির এক্স-রে, বাধ্য রোগী হয়ে নিজেই গেলেন ল্যাবে, ভাবা যায়

Antara Nag

Updated on:

Advertisements

জীববিজ্ঞানীদের মতে, হাতি একটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রাণী। হাতিরা সেই কারণেই পোষও মানে তাড়াতাড়ি। মানুষের দেওয়া নির্দেশ বুঝেও কাজ করতে পারে তারা। কারণ অন্যান্য অনেক প্রাণীর তুলনায় হাতির মানুষের দেওয়া নির্দেশ বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা কিছুটা বেশি। আর এই কথাটি আবার প্রমাণ করলো একটি হাতি। কিভাবে? তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

Advertisements

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই হয়। আর কোনো হাড় জনিত সমস্যা যদি গভীর হয় তাহলে এক্সরে করা তো বাঞ্ছনীয়। কিন্তু মানুষের কাছে এক্সরে করা কোন সমস্যার বিষয় নয়। সমস্যাটা তখনই তৈরি হয়, যখন কোন পশুর এক্স-রে পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। পশুটিকে স্থির ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখতে নাজেহাল হয়ে যান চিকিৎসকরা।

Advertisements

আসলে হাতিটির শারীরিক অবস্থা ঠিক নেই। তার গলা থেকে পেটের অনেকটা অংশ এক্সরে করা প্রয়োজন। সে নিজেই বুঝতে পারে যে তার শরীর অসুস্থ। আর তার জন্য তাকে ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। নাহলে সে সুস্থ হতে পারবে না। আর এই জন্যই সে পৌঁছে যায় হাসপাতালে। আর সেখানে গিয়েই ঘটে অবাক করা ঘটনাটি। হাতিটিকে যখন এক্সরে করার জন্য পরীক্ষাগারে যাবার নির্দেশ দেওয়া হয়, সে তখন নিজেই পৌঁছে যায় পরীক্ষাগারে।

Advertisements

সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। আর তার পরই এটি ভাইরাল হয়ে যায়। কাভারি নামের কোনো জনৈক ব্যক্তির টুইটার একাউন্ট থেকে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। এতে দেখা যায়, এক চিকিৎসক এক্স-রে পরীক্ষার ল্যাবে নিয়ে এসেছিলেন একটি হাতিটিকে। আর সে কোনো ঝামেলা না করে চিকিৎসকের সাথে ল্যাবে ঢুকেছে।

ল্যাবে ঢুকেও হাতিটি কোনো কিছু না করে চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকেছে। তারপর স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ মত সে সকল কাজ করতে থাকে। তাকে যেভাবে পাশ ফিরে শুতে বলা হয়, সে সেভাবেই শুয়ে পরে। অন্য দিকে ঘুরতে বলা হলে তৎক্ষণাৎ সে সেই দিকেও ঘুরে যায়। এক্স-রে করার সময় কাওকে সামান্যতম বিরক্তও সে করেনি, এমনকি এক্সরে মেশিনের গায়ে কোনো ধাক্কা বা আঘাত না লাগে সেই দিকেও সে খেয়াল রেখেছে।

Advertisements