দুর্ঘটনায় অঙ্গ বিকল, ১২ বছর ধরে শয্যাশায়ী দুঃস্থ বৃদ্ধের সাহায্য প্রার্থনা

Laltu Mukherjee

Updated on:

Advertisements

লাল্টু : দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জালালপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব শেখ হাকিম গত ১২ বছর ধরে রয়েছেন শয্যাশায়ী।

Advertisements

শেখ হাকিম জানান, গত ১২ বছর আগে খয়রাশোলের ভিমগড় থেকে গরুগাড়ি করে পাথর নিয়ে আসছিলেন জালালপুর গ্রামে। শাল নদীর কাছে হঠাৎই একটা লরি গরুর গাড়ির পেছনে ধাক্কা মারলে গুরুতর আহত হন শেখ হাকিম। তার শরীরের দু’জায়গায় গুরুতর আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা কড়ালেও কোন ফল মেলেনি।

Advertisements

অন্যদিকে পারিবারিক অস্বচ্ছলতার জন্য চিকিৎসাও ঠিকমতো করাতে পারেননি। চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই নিজের থাকা কিছু জমি সঙ্গে গরু ও গাড়ি বিক্রি করে ইতিমধ্যেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এখন সম্বল বলতে একটা রুম বিশিষ্ট কাঁচা বাড়ি।

Advertisements

পরিবারের লোক থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষ চাইছেন সরকারিভাবে সাহায্য পাওয়া গেলে আবার সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেন শেখ হাকিম। সরকারি সাহায্য বলতে হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পেয়েছেন একটা হুইলচেয়ার। যদিও পরিবারও গ্রামবাসীদের থেকে জানা যায় যে তারা কোনো সরকারি দপ্তর বা ব্লকে আবেদন করেননি।

জানা গিয়েছে, শেখ হাকিমের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এক ছেলে গ্রামেই সবজি বিক্রি করে কোনরকম নিজের সংসার চালান। অন্যদিকে আরেক ছেলে কোলকাতায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন। তবে তিনি আলাদা থাকেন।

সেখ হাকিমের বাঁচার জন্য একমাত্র সম্বল বলতে তার স্ত্রী। স্ত্রী তার সব সময়ের জন্য দেখাশোনা করেন। ১২ বছর ধরে একইভাবে সেবা শুশ্রুষা করে আসছেন তার স্ত্রী।

দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায় জানিয়েছেন, আমাদের কাছে কেউ কোনো আবেদন করেননি। করলে অবশ্যই ওই পরিবারের পাশে থাকতাম। আমরা খবর নিয়ে দেখছি বর্তমানে ওই পরিবারটা কোন অবস্থায় রয়েছে, তা দেখে ওই পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসা থেকে শুরু করে সব সময়ের জন্য থাকার চেষ্টা করবো।

Advertisements