অমরনাথ দত্ত : লাভপুরের বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলামের দাদা আনারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করলো লাভপুর থানার পুলিশ। লাভপুরের এক তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়েছিল মনিরুল ইসলামের দাদা আনারুল ইসলামের। আর এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বোলপুর থেকে। বোলপুরের কাশিপুর থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।
লাভপুরের ভাটরা গ্রামের সহদেব বাগদি নামে এক তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় জুলাই মাসের ৪ তারিখ। মৃত সহদেব বাগদি ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন এক তৃনমূল সদস্য ছিলেন। ঘটনার দিন গ্রামের বাইরে তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর এই তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যের খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ে লাভপুরের বিজেপি নেতা তথা লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আনারুল ইসলামের। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাভপুর থানার পুলিশ বোলপুরের কাশিপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আনারুল ইসলামকে।
এর আগেও একাধিক ঘটনায় মনিরুল ইসলাম এবং তার পরিবারের সদস্যদের নাম জড়িয়েছে। যাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো ২০১০ সালের ঘটনা। যে সময় এলাকার একটি বালি ঘাটের দখলদারিকে কেন্দ্র করে মনিরুল ইসলাম এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এলাকার তিন ভাই ধানু শেখ, কাটুন শেখ ও তুরুক শেখকে পিটিয়ে মেরে ফেলার। ওই তিন ভাই সিপিআইএম সমর্থক ছিলেন। আর এই ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল মাস্টারমাইন্ড হিসাবে মনিরুল ইসলাম এবং তার দাদার। তবে মনিরুল ইসলাম সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে একদা বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান। আর বর্তমানে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ এই মনিরুল ইসলাম ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগ দেন।