Ancient Surya Idol: ১১০০ বছরের সূর্য মূর্তি উদ্ধার, দামোদর দিল ইতিহাসের খোঁজ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Ancient Surya Idol: বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বহু প্রাচীন মূর্তি। গত রবিবার দুপুরবেলা দামোদর নদের তীর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রাচীন সূর্য মূর্তি। অন্যান্য সূর্য মূর্তি যেগুলো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে তার থেকে উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি সম্পূর্ণ আলাদা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে অবশেষে মূর্তিটির জায়গা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা করছে মূর্তিটির ইতিহাস সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার।

Advertisements

শীতকালে মানুষেরা জমায়েত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় পিকনিক করে থাকে। এক্ষেত্রেও পিকনিকে গিয়ে অবশেষে উদ্ধার হয়েছে এই প্রাচীন মূর্তি (Ancient Surya Idol)। কয়েকজন যুবক পূর্ব বর্ধমানের হরিপুর এলাকায় দামোদর নদের তীরে পিকনিক করতে গিয়েছিল এবং সেখানেই তাদের চোখে পড়ে ওই প্রাচীন মূর্তিটি। মূর্তিটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক বেশি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরা যুবকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন সেই জায়গায়। মূর্তির গুরুত্ব যে কতটা বেশি তা আন্দাজ করতে পারতে বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements

প্রথমে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে মূর্তিটি খতিয়ে দেখেন এবং তার বিশেষত্ব সম্পর্কে খোঁজ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে। কর্তৃপক্ষ অবশেষে সাহায্য নেয় পুলিশ প্রশাসনের এবং তাদের মাধ্যমে মূর্তিটি (Ancient Surya Idol) উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অনুমান করছে যে, উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি পাল কিংবা সেন যুগের।

Advertisements

আরও পড়ুন:Bagrakote Loop PoolBagrakote Loop Pool: কালিম্পং ও ওলদাবাড়ির মধ্যে তৈরি বাগড়াকোট লুপ পুল, পর্যটকদের জন্য নতুন উন্মাদনা

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামসুন্দর বলেন, দক্ষিণ দামোদর এলাকার হরিপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই মূর্তিটি (Ancient Surya Idol)। এলাকাটি পড়ে নতুন পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে। কয়েকজনের দ্বারা খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মূর্তিটি দেখতে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন যে, দামোদরের গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই প্রাচীন সূর্যমূর্তিটি। মূর্তিটি পাল কিংবা সেন যুগে তৈরি করা হয়েছে। যদি মূর্তি ঠিক দশম কিংবা একাদশ শতকে তৈরি করা হয় তাহলে প্রায় ১১০০ বছর পুরনো এই সূর্যমূর্তি। মূর্তিটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে, এটি ব্যাসল্ট পাথর দিয়ে তৈরি। মূর্তিটির উচ্চতা প্রায় তিন ফুট, প্রস্থ দেড় ফুটের কাছাকাছি।

শ্যামসুন্দরবাবুর কথায়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে বেশ কয়েকটি সূর্যমূর্তি রয়েছে, যার মধ্যে এই মূর্তিটি একেবারেই আলাদা। কেন এই মূর্তিটিকে সবার থেকে আলাদা বলা হচ্ছে তার পেছনেও রয়েছে উল্লেখযোগ্য কারণ। এতে আছে কীর্তিমুখ এবং উড়ন্ত বিদ্যাধরের উপস্থিতি। মূর্তিটির মুখমণ্ডল ভাঙা। তবে একচক্র এবং সপ্তাশ্ববাহী রথ রয়েছে। এই বিশেষ গুণগুলো বলে দিচ্ছে মূর্তিটি হয়ত পাল কিংবা সেন যুগের তৈরি। তিনি জানান, বালি থেকে তোলার সময় মূর্তিটির মুখমণ্ডলের কিছুটা ভেঙে গিয়েছে। মূর্তিটি উদ্ধার করতে সহায়তা করেছে রায়না থানার পুলিশ এবং তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের।

Advertisements