উচ্চমাধ্যমিকের পর বাতিল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, নম্বর দেওয়ার পদ্ধতি জানালো শিক্ষাদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা পরিস্থিতি দেশে অবনতির দিকে যাওয়া শুরু করতেই তিনটি পরীক্ষা বাকি থাকতেই স্থগিত হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ছাড়াও স্থগিত হয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় কেন্দ্রীয় বোর্ডেরও বেশকিছু পরীক্ষা স্থগিত হয়। আর এমত অবস্থায় এই পরীক্ষাগুলি আগামী দিনে করা নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়। অবশেষে শেষমেষ শুক্রবার আর উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে না বলে জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি বাতিল হওয়ার পাশাপাশি বাতিল হয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলিও। আর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর পড়ুয়াদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়তে থাকে কিভাবে তারা পরীক্ষার নম্বর পাবে? আর এনিয়েই শিক্ষাদপ্তরকে পাঠানোর সুপারিশ অনুযায়ী পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ার পদ্ধতি জানানো হলো।

সুপারিশ অনুযায়ী বলা হয়েছে, দুটি পর্যায়ে স্নাতক স্তরের ফাইনাল সেমিস্টারের নম্বর ঠিক করা হবে। আগের পাঁচটি সেমিস্টারের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা যে সেমিস্টারে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন সেই সেমিস্টারের নম্বর থেকে ৮০% নম্বর দেওয়া হবে ফাইনাল সেমিস্টারে। আর বাকি ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে। বাকি কোন সেমিস্টারের মূল্যায়ন করা হবে না। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীরা সেমিস্টার না দিয়ে পরবর্তী স্তরে পড়ার সুযোগ পাবে।

স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, আগের তিন সেমিস্টারের যে সেমিস্টারে সর্বোচ্চ নম্বর রয়েছে সেই সেমিস্টারের নম্বর থেকে ৮০% নম্বর দেওয়া হবে শেষ সেমিস্টারে। আর বাকি ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে।

উচ্চমাধ্যমিকের মতই এক্ষেত্রে বলা হয়েছে কোনো পরীক্ষার্থী যদি তার নম্বরে অসন্তুষ্ট থাকেন তাহলে তিনি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর পরীক্ষা দেওয়া যাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর।