announcement of financial assistance by Abhishek Banerjee will benefit 70 thousand old women: বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষদের জন্য নানা ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে উপকৃত হন সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মহিলারা। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মহিলারা এই আর্থিক সহায়তার কারণে বর্তমানে নানা ধরনের সুবিধা উপভোগ করছেন। এবার ডায়মন্ডহারবার এর বর্তমান বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারের প্রায় ৭০ হাজার অসহায় মহিলাকে জানুয়ারি মাস থেকে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার ঘোষণা করলেন (Abhishek Banerjee)।
তৃণমূল সাংসদ তার এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজার বয়স্ক মহিলার নাম বার্ধক্য ভাতার জন্য ইতিমধ্যে নথিভুক্ত হয়েছে (Abhishek Banerjee)।। তার কথায় “আপনারা জেনে রাখুন খালি ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকায় ৭০ হাজার বয়স্ক মহিলাকে দুয়ারে সরকারে মাধ্যমে রেজিস্টার করা হয়েছে, যাতে তাঁরা আগামীদিনে বার্ধক্য ভাতা পান। ফলতাতেও ১০-১২ হাজার মহিলা রয়েছেন যাঁরা বার্ধক্য ভাতা চাইছেন। সরকার যবে দেবে দেবে, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের এক থেকে দেড় লাখ সক্রিয় কর্মী রয়েছেন। তাদের সাহায্যেই এই কাজ করা হবে।”
অভিষেক তার বক্তব্যের মাধ্যমে আরো বলেন “পয়লা জানুয়ারি থেকে এই ৭০ হাজার বয়স্কা মহিলা সবার হাতে আমাদের সীমাবদ্ধ ক্ষমতা অনুযায়ী যতটুকু আমরা পারব সাহায্য তুলে দেব, সরকারের কোনও সহযোগিতা ছাড়া। আর এটাই ডায়মন্ডহারবার মডেল।” ডায়মন্ড হারবারের মানুষের উন্নতিতে তিনি যে সবসময় তাদের পাশে আছেন একথা জানাতেও ভোলেননি অভিষেক (Abhishek Banerjee)। এ প্রসঙ্গে ১০০ দিনের কাজের কথা বলতে গিয়ে অভিষেক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১০০ দিনের টাকা না দিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করলেও তিনি যতদিন আছেন ততদিন ডায়মন্ড হারবার এর একটা মানুষকেও কেন্দ্র ভাতে মারতে পারবে না।
অভিষেকের এরূপ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একজন বিজেপি নেতা অভিষেকের নাম না করেও জানিয়েছেন “আগামী লোকসভা নির্বাচনে ওরা আবার টাকা দিতে আসবে। আমি বলি, টাকা দিতে এলে নিয়ে নেবেন। কারণ ওই টাকা আপনাদের।” যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসব সমালোচনায় কান দিতে নারাজ। তার দৃঢ় বিশ্বাস ডায়মন্ডহারবার তথা সারা বাংলার মানুষ তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।