নিজস্ব প্রতিবেদন : আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এখন দানা বেঁধেছে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে। ঋতু অনুযায়ী আবহাওয়া এখন আর দেখা যায় না। এখন যখন শীত পড়ার মতো মরসুম এসে গিয়েছে সেই সময় একের পর এক প্রতিকূল পরিস্থিতি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শীতে। সম্প্রতি তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করলেও নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ভ্রুকুটি দেখা যাচ্ছে সাগরে। যা নিয়েই নতুন করে তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা।
দিনকয়েক আগেই ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রথম থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বলা যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব বাংলায় সেই ভাবে পড়েনি। মিধিলির প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় হালকা বৃষ্টির দেখা মিললেও ক্ষয়ক্ষতির কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে এবার বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরীর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের উপর বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রবেশ করবে। এরপর ওই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করবে এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে আসা শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত আগামী ২৯ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এবার তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের উপর পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে বঙ্গোপসাগরে ২৯ নভেম্বর ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে। এরপর সেই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের উপর আছড়ে না পড়লেও ২ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। যদি এই পূর্বাভাস মিলে যায় তাহলে ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায়।
এর পাশাপাশি যদি এই পূর্বাভাস মিলে যায় তাহলে নতুন করে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পতনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে ওই ঘূর্ণিঝড়। পাশাপাশি ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে শীতকালীন ফসলের ক্ষেত্রে। যদিও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি এবং এই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।