জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অতীত! এবার রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন মন্ত্রীর হদিস

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তেড়েফুঁড়ে তদন্তে নামতেই প্রথমেই দেখা যায় ইডির হাতে আসেন কোটি কোটি টাকার মালিক ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান (Bakibur Rahaman)। বাকিবুর রহমানের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয় প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) বাড়িতে। তারপর সেখানে তাকে ২১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি চালানোর পর গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisements

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করা এবং তার নামে বেনামি বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি সম্পর্কে এখন প্রত্যেকেই জেনে গিয়েছেন। এবার এই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রীতিমত অতীত হতে চলেছেন। কেননা রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার নতুন মন্ত্রীর হদিস পেয়েছে ইডি। বাকিবুর রহমানের সঙ্গে আরেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার প্রাথমিক তথ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে।

Advertisements

কে ওই নতুন মন্ত্রী? ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, নতুন যে মন্ত্রীর কথা বলা হচ্ছে তিনি বাকিবুর রহমানের থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছেন। বিভিন্ন সময় টাকা নিয়ে বাকিবুর রহমানের কালো টাকা বিভিন্ন সম্পত্তি, জমি, হোটেল, এমনকি আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় হোটেল, কৈখালির পানশালা এবং বাড়ির জমি পেতে সাহায্য করেছেন। এমনকি ওই মন্ত্রীর দপ্তরে বাকিবুরের যাতায়াত ছিল এবং অ্যান্টি চেম্বারে বসে বাকিবুরের সঙ্গে বৈঠক করতেন।

Advertisements

কিভাবে চলত বাকিবুরের কালো টাকা রোজগার এবং সেই কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া? এক্ষেত্রে ইডি যা দাবি করছে তাতে দুই মন্ত্রীর হাত ধরেই এইসব কারবার চালাতেন বাকিবুর। গ্রেপ্তার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে বিভিন্ন রেশন ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটারদের থেকে কোটি কোটি টাকা লুটতেন বাকিবুর। আর সেই টাকা আবার দ্বিতীয় মন্ত্রীর সাহায্যে সাদা করার প্রক্রিয়া চলত। কালো টাকার বেশ বড় অংশ সাদা হয়েছে দ্বিতীয় মন্ত্রীর হাত ধরে।

মূলত মন্ত্রীর এক আপ্ত সহায়কের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ইডির হাতে এমন নানান বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রথম মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হলেও দ্বিতীয় সন্দেহভাজন ওই মন্ত্রীকে তা এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়নি। মূলত তদন্তের কারণেই জানানো হয়নি, তবে সূত্র মারফত যে সকল দাবি-দাওয়া উঠে আসছে তা যদি সত্য হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় মন্ত্রীর নামও সামনে চলে আসবে।

Advertisements