পশ্চিম বর্ধমান : দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতে সহজেই সড়কপথে যানবাহন যাতায়াত করতে পারে তার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন জাতীয় সড়ক তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যে নতুন একটি জাতীয় সড়ক (National Highway) তৈরি হতে চলেছে। যে জাতীয় সড়কটি তৈরি হলে সহজেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া যাবে বিহার, ঝাড়খন্ড।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এমনিতেই রাজ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত একটি চার লেনের হাই স্পিড করিডর তৈরি করার অনুমোদন দিয়েছে। যে সড়কটি তৈরি করার জন্য ১০,২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই হাই স্পিড করিডর রাজ্যের সড়ক পথের মানচিত্র বদলে দেবে। ঠিক সেইরকমই পশ্চিম বর্ধমান থেকে নতুন যে জাতীয় সড়কটি তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেটিও রাজ্যের সড়ক যোগাযোগে আমূল বদল এনে দেবে।
সরকারের তরফ থেকে পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন রোডকে মূলত জাতীয় সড়কে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কয়েক দফা আলোচনা সেরে ফেলা হয়েছে। মূলত যত দ্রুত এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যায় সেই বিষয়েই দফায় দফায় আলোচনা চলছে। কেননা এই রাস্তাটি জাতীয় সড়কে উন্নীত হলে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান তথা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়ে যাবে।
রাজ্যের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কুলটির চৌরঙ্গী মোড় থেকে রূপনারায়ণের দিকে যে রাস্তাটি গিয়েছে অর্থাৎ চিত্তরঞ্জন রোড, সেটিকেই জাতীয় সড়কে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। কেননা এই রাস্তার পাশে বেশ কিছু বড় বড় নির্মাণ রয়েছে আর সেই সকল নির্মাণ ভাঙ্গার পাশাপাশি তাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে দর কষাকষির বিষয়টি রয়েছে।
চিত্তরঞ্জন রোডটি রূপনারায়ণ রেল সেতুর বাঁদিকে সীমান্ত এলাকায় থাকা টোল প্লাজা রয়েছে সেখানেই ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে মিশে যাবে। মোট ৯ কিলোমিটার কাজ হবে এই প্রকল্পের আওতায় আর এই ৯ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য ১৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে। রাস্তাটি হবে দুই লেনের এবং এটি প্রায় ১২ মিটার চওড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এখানে ফুটপাত থেকে শুরু করে নর্দমা, জলের পাইপলাইন এবং সার্ভিস লেন থাকবে।