অমরনাথ দত্ত : বিতর্কিত মন্তব্য থেকে নিদান, সবকিছুতেই রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু বীরভূমের মত প্রত্যন্ত এলাকার দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুধু রাজনীতিতে নন, রাজনীতির বাইরেও তিনি বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন।
রাজনৈতিক সভা থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে যেমন নিজের ঢঙেই নিজের মন্তব্য পেশ করতে দেখা যায়, ঠিক তেমনই পুজো অর্চনার ক্ষেত্রেও রয়েছে তার নিজস্ব ঢং। তার এই নিজস্ব ঢং-ই তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু করে তোলে। তাকে কখনো দেখা গিয়েছে শিবরাত্রিতে শিবের মাথায় লিটার লিটার দুধ ঢালতে, আবার কখনো দেখা গিয়েছে তারাপীঠে কয়েক মন কাঠ দিয়ে যজ্ঞ করতে। আর এসবের বাইরে নিজের কালীপুজো, সে তো নতুন কিছু বলার থাকে না।
সবেতেই ব্যতিক্রমী এই মানুষটি প্রতিবছর বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে কালী পূজার আয়োজন করে থাকেন। কালীপুজোর আগে তিনি নিজে হাতে সেই কালী প্রতিমাকে সোনার গয়না দিয়ে সাজান। যদিও গত বছর এবং এবছর পারিবারিক সদস্যদের প্রয়াণের কারণে তার এই কালি বিগ্রহ সাজাচ্ছেন অন্যজন। অন্যজন কালী বিগ্রহ সাজালেও সোনার গয়নার পরিমাণ প্রতি বছর বেড়ে চলেছে।
চলতি বছর তিনি এখনো পর্যন্ত যা জানিয়েছেন তাতে কমকরে ২৯২ ভরি সোনার গয়নায় সাজছেন তার কালী প্রতিমা। তবে এই গয়নার পরিমাণটা পুজোর পরে আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কালী প্রতিমার এই গয়নার তালিকায় রয়েছে মুকুট, হাতের বালা, চূড়, বাউটি, বাজুবন্ধ, নেকলেস, হার সবই।
অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার নিজের কালী প্রতিমার গয়নার হিসাব দেওয়ার পাশাপাশি জানান, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মায়ের কাছে ২২০ থেকে ২৩০টি আসন চেয়ে নেবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এই কালী প্রতিমার বিগ্রহের সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল ১৮০ ভরি। ২০১৯ সালে এই সোনার গহনার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬০ ভরি। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ৩২ ভরি সোনার গহনা বেড়েছে। অর্থাৎ গহনা দাঁড়িয়েছে ২৯২ ভরি।