Anubrata Mondal: হিংসার পথ ছেড়ে অন্যের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার পরামর্শ, এ যেন অচেনা অনুব্রত মণ্ডল

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Anubrata Mondal: তিনি অনুব্রত মণ্ডল, তবে এই নামের থেকে তিনি যেন বীরভূমের বাঘ নামেই বেশি খ্যাত ছিলেন। বিরোধীদের পিঠে চড়াম চড়াম ঢাক পিটানো কিংবা বাতাসার নকুলদানা উবাচের কারণে বিখ্যাত অনুব্রত মণ্ডল। তার এই পরিমাণ বিতর্কিত মন্তব্য সামাল দিতে একবার তো স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই ফেলেছিলেন অনুব্রত তথা কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন কম পৌঁছয়। তবে পরবর্তীতে শাসকদলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। সিবিআইয়ের কোপে পড়ে জেল কেটেছেন বেশ কয়েক মাস।

Advertisements

সম্প্রতি সেই মামলায় আদালত থেকে জামিনে ছাড়াও পেয়েছেন। ফিরে গিয়েছেন তার পুরনো ডেরায়। কিন্তু সেই পুরনো ডেরায় ফিরলেও পুরোনো অনুব্রত মণ্ডলকে সক্রিয় রাজনীতিতে কোমর বেঁধে নামতে দেখা যায়নি তাকে। একদা বিরোধীদের পিঠে চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো বলা অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) মুখে আজ শোনা গেল পুরোপুরি উল্টো কথা।

Advertisements

নিজের সেবা না করে মানুষের সেবা করুন, মানুষের সেবা করলে তবেই আপনার ভালো হবে”, ঠিক এই ভাবেই একেবারে আলাদা রকম পরামর্শ দিতে দেখা গেল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। অনুব্রত মণ্ডল রবিবার উপস্থিত হয়েছিলেন দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর গ্রামে। সেখানে শতাব্দী প্রাচীন সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন ছিল এ দিন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এদিন মেলার উদ্বোধন করতে দেখা গেল তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা এসআরডিএ চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডলকে।

Advertisements

আরও পড়ুন: কার দখলে যাবে দিল্লি? শেষ হাসি কে হাসবে? বিজেপি, কংগ্রেস নাকি আপ

এছাড়াও এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা থেকে শুরু করে বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন হেতমপুর রাজ পরিবারের সদস্যরাও। রাজ পরিবারের সদস্যদের মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে খুব খুশি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

হেতমপুর এর শতাব্দী প্রাচীন সরস্বতী পুজো উপলক্ষে যে মেলার আয়োজন হয়ে আসছে সেই মেলা একসময় হেতমপুর রাজ পরিবার পরিচালনা করে থাকতো। তবে এখন সেই মেলা পরিচালনা করে থাকে হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। হেতমপুরের এই মেলা চলে পাঁচ দিন ধরে। নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জমজমাট হয় পাঁচ দিন। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন রকমারি দোকান দেখা যায় ঠিক সেই রকমই আবার দূর দুরান্ত থেকে বহু মানুষের আগমন হয়ে থাকে এই মেলায়।

Advertisements