খালাসী থেকে দুই সংস্থার ডিরেক্টর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বাবু কি করেন নি!

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পর এবার সিবিআই স্ক্যানারে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েন। এই বিদ্যুৎ বরণ গায়েন কি না করেননি! এমনকি মন্ডল পরিবারের সম্পত্তিতেও ভাগ রয়েছে তার। অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি বাবা বলে ডাকতেন বলে জানা যায়। তবে প্রশ্ন হল সামান্য একজন পৌরসভার গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে কাজ করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিদ্যুৎ বরণ গায়েন কিভাবে এমন প্রতিপত্তির মালিক হলেন?

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ২০০৮ সালে বিদ্যুৎ বরণ গায়েন বোলপুর পৌরসভার গাড়ির খালাসী হিসাবে কাজে যোগ দেন। সেই সময় তিনি অস্থায়ী কর্মী ছিলেন এই পৌরসভার। তবে ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের পালাবদলের পর ২০১২ সালে তিনি বোলপুর পৌরসভায় স্থায়ী চাকরি পান। স্থায়ী চাকরি পাওয়ার পাশাপাশি তার পদোন্নতি হয়। খালাসী থেকে হন চালক।

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি হওয়ার পাশাপাশি ধনসম্পত্তিতেও তার আকাশ ছোঁয়া উন্নতি হতে শুরু করে। ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেন বিদ্যুৎ বাবু। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিদ্যুৎ বরণ গায়েন। এমনকি ধীরে ধীরে তিনি অনুব্রত মন্ডলের ছায়া সঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন।

অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর যে দুটি সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সেই দুটি সংস্থার প্রথম ডিরেক্টর হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের নাম থাকার পাশাপাশি দ্বিতীয় ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের। এছাড়াও মন্ডল পরিবারের একাধিক সম্পত্তিতে নাম রয়েছে বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ বরণ গায়েন প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন পান। কিন্তু এই ২৫ হাজার টাকা বেতন এই তিনি বোলপুর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুরে তিনটি বিশাল বাড়ি, দুটি প্লট নিজের নামে তৈরি করে ফেলেছেন। বিদ্যুৎ বরণ বাবুর এহেন সম্পত্তির উত্থান হার মানাতে পারে বড় বড় শিল্পপতিদেরও।