লাল্টু : গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে চলতি বছর রাখি পূর্ণিমার দিন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে চার মাসের বেশি সময়। কখনো সিবিআই হেফাজত, কখনো সংশোধনাগারে তাকে সময় কাটাতে হচ্ছে। এরপর আবার রয়েছে আদালতে হাজির হওয়া।
এই সকল ঝক্কির মাঝে ওজন অনেকটাই কমেছে তার। এরই মধ্যে আবার অনুব্রত মণ্ডল এবং তার অনুরাগীদের কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ইডির পদক্ষেপ। কারণ ইডি তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এই অনুমতির পর যখন ইডি আধিকারিকরা তোড়জোড় শুরু করেছেন সেই সময় হঠাৎ শিব ঠাকুর মন্ডল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন খুনের চেষ্টার।
নিজের দলের কর্মীর এই অভিযোগ শাপে বর হয়ে দাঁড়ায় অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। তার দিল্লি যাত্রার পরিবর্তে হয় দুবরাজপুর যাত্রা। দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর দলীয় কর্মীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি জেলায় পা রাখতে পারেন এবং পুলিশি হেফাজত পেয়ে নিজের জেলার থানায় প্রথম রাত কাটান।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলকে দুবরাজপুর পুলিশ হেফাজতে প্রথম রাতে দেওয়া হয় তিনটি রুটি, বেগুন পোড়া এবং ডাল। তিনটি রুটির মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল একটি রুটি খান। তবে তিনি তৃপ্তি করে খেয়েছেন বেগুন পোড়া ও ডাল। তৃপ্তি করে রাতের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তাতে ভালো ঘুমও হয়েছে তার।
ভালো ঘুমের পর বুধবার সকালে একটু দেরি করেই অনুব্রত মণ্ডল ঘুম থেকে ওঠেন এবং ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই চা-বিস্কুট খান। চা-বিস্কুটের পর তিনি সকালের টিফিন হিসাবে খান পুরি, সবজি। মঙ্গলবার যখন তাকে আসানসোল থেকে দুবরাজপুরে আনা হয় সেই সময় শরীরে হালকা জ্বর ছিল। তবে এখন তার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।