নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ ১৭ দিন হাসপাতালে কাটানোর পর অবশেষে শুক্রবার দুপুর বেলাতেই জানতে পারা যায় হাসপাতাল থেকে ছুটি পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। হাসপাতাল থেকে তার ছুটি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান তার অনুরাগীরা। তার অনুরাগীরা আত্মহারা হওয়ার পাশাপাশি হার্টে ব্লকেজ নিয়েও অনুব্রত মণ্ডল ‘দিল খুলে’ এই কাজটি সেরে ফেললেন।
গত ৬ এপ্রিল যখন গরু পাচার কাণ্ডে পাওয়ার পর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, তাহলে বোধ হয় এবার অনুব্রত মণ্ডল নিজাম প্ল্যালেসে যাচ্ছেন হাজিরা দিতে। এমন কৌতুহলের মধ্যেই তার গাড়ি যথাসময়ে কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে বের হলেও হঠাৎ নাটকীয় মোড় নেয় সেই গাড়ি।
নিজাম প্ল্যালেসে গাড়ি যাওয়ার পরিবর্তে তা সোজা পৌঁছে যায় এসএসকেএম হাসপাতালের উডর্বান ওয়ার্ডে। জানা যায় অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় সহ আরও একাধিক কারণে তড়িঘড়ি সেখানে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১৭ দিন। এরপর এই শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছুটি পান অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মণ্ডলের হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার খবরে যেমন তার অনুরাগীরা খুশি হয়ে ওঠেন ঠিক তেমনই খোদ অনুব্রত মণ্ডলও আনন্দে উডর্বান ওয়ার্ডে বিপুল পরিমাণে মিষ্টি আনা করান। তারপর সেই মিষ্টি দিয়ে মিষ্টিমুখ করান ওই ব্লকের কর্তব্যরত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের। যদিও শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা মিষ্টিমুখ করানোর মিষ্টি সকলের মুখে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কারন অনেকেই ডিউটিতে ব্যস্ত ছিলেন।
১৭ দিন ধরে হাসপাতালে কাটানোর পর অনুব্রত মণ্ডল শুক্রবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ ছাড়া পান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাকে লক্ষ্য করা যায় গেরুয়া রঙের গেঞ্জি, মুখে মাস্ক পরে চালকের পাশের সিটে বসে হাসপাতাল থেকে ফিরতে।