নিজস্ব প্রতিবেদন : চরম ধন্দ! অন্তত বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে এমনই হালচাল। প্রতিনিয়তই দেখা যাচ্ছে এক এক করে নেতাদের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে। আবার শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর অনেকেই সেই ত্যাগীর খাতায় নাম লিখিয়েছেন। এমনকি অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকের নেতা মন্ত্রীদের নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ সুদিপ্ত ঘোষের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। যদিও কিছুক্ষণের জন্য সেই পোস্ট থাকার পর তা ডিলিট করে দেওয়া হয় এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওই তৃণমূল নেতা দাবি করেন তিনি এই পোস্ট করেননি। তার প্রোফাইল হ্যাক করে অন্য কেউ তা করেছে।
একইভাবে ঠিক তার আগেরদিন গুসকরার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের দুই ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীও বিজেপিতে যোগ দেবেন।’ আর এই মন্তব্যের পর এই চরম জল্পনা শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। অনুব্রত মণ্ডলের দুই ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী বলতে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
আর এই জল্পনার মাঝেই বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে ও তারাপীঠে যান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে কৃষি মন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয় তাঁর। পাশাপাশি তারা মায়ের পুজোতে অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘কর্মীরাই শেষ কথা। নেতা চলে গেলে কিছু যায় আসে না।’
অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, “শেষ কথা বলে কর্মীরাই। নেতারা বলে না। কর্মীরাই নেতা তৈরি করে। নেতা কর্মী তৈরি করে না।” এরপরেও প্রশ্ন উঠে বীরভূমের কোন নেতা যাচ্ছে নাকি! তার উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কোথায় আর যাবে। দিদিকে ছেড়ে যাবে না, মা তারাকে ছেড়ে কেউ কি যায়।”
যদিও কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায় এর আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, “বিজেপিতে যাওয়া প্রসঙ্গে তার সম্পর্কে যা রটেছে তা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। তিনি তৃণমূলে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তৃণমূল করবেন।”
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতির মনে করছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের দলে ধরে রাখতে কোনরকম খামতি রাখতে চাইছেন না দলের কান্ডারীরা।