নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসানসোল কাটিয়ে রয়েছেন দিল্লির তিহারে (Tihar)। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তার হওয়া এবং তিহার যাত্রা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরনের মিম ছড়াতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সময়। যা নিয়ে যেমন হাসিঠাট্টার কমতি নেই, ঠিক সেই রকমই বিতর্কেরও শেষ নেই। তবে এসবের মধ্যেই এবার অনুব্রতর এলাকায় নয়া বিতর্ক অনুব্রতর সিক্স প্যাক ঘিরে।
অনুব্রতকে নয়া রূপে শান্তিনিকেতনে সশরীরে দেখতে পাওয়াটা বর্তমানে অস্বাভাবিক, কারণ তার ঠাঁই এখন দিল্লি। তবে ‘অনুব্রতর সিক্স প্যাক’ ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক ব্যক্তি। শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর এই ছবি ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে শান্তিনিকেতন এলাকায়।
যে ব্যক্তি অনুব্রত মণ্ডলের এমন সিক্স প্যাক ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি একজন টোটো চালক। তার টোটো এলাকায় ‘ঠাকুরের টোটো’ নামে পরিচিত। ওই টোটো চালকের নাম সুকেশ চক্রবর্তী। তিনি তার ব্যক্তিগত রাগ থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের এমন সিক্স প্যাক ছবি তৈরি করে টোটোর পিছনে লাগিয়ে বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
তিহার জেলে কাটানোর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের নাদুসনুদুস চেহারা আর থাকবে না, কিছুদিনের মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের সিক্স প্যাক দেখা যাবে এমনটা একাধিকবার বিজেপি নেতাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তবে তারা দাবি করলেও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন টোটো চালক সুকেশ চক্রবর্তী। কারণ তিনি যেভাবে অনুব্রতর সিক্স প্যাক ছবি টোটোর পিছনে সাঁটিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। অনুব্রতর এলাকায় এইভাবে অনুব্রতর ব্যঙ্গচিত্র!
অনুব্রত মণ্ডলের সিক্স প্যাক ছবি টোটোর পিছনে লাগানোর পাশাপাশি সুকেশ চক্রবর্তীর টোটোয় থাকা পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘আপনি যখন ক্ষমতাই ছিলেন/বহুজনকে দিয়েছেন মিথ্যা করে গাঁজার কেস/পাপ কোনদিন বাপকে ছাড়েনা/তিহার জেলে বসে বুঝতে পারছেন বেশ”। সুখেশ চক্রবর্তী এমন ছবি সাঁটানোর কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, ‘তাকে দু’বার জেল খাটানো হয়েছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করেই তাকে জেল খাটানো হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, সুকেশ চক্রবর্তী তার টোটোর পিছনে এই প্রথম এই ধরনের পোস্টার সাঁটিয়ে বোলপুর ঘুরে বেড়াচ্ছেন এমন নয়। এর আগেও তার টোটোর পিছনে দেখা গিয়েছে পার্থ অর্পিতা সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের যারা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। আবার ভগবান রূপে তার টোটোই দেখা গিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও।