‘গোয়েল থেকে পালানো গরুদের ফিরিয়ে গুঁজে বেঁধে দেওয়া হবে’, অনুব্রত মণ্ডল

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট পরবর্তীতেও বীরভূমের রাজনৈতিক সরগরম পরিস্থিতির পরিবর্তন নেই। তৃণমূল বিজেপি বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারংবার সরগরম হচ্ছে জেলা। ঠিক তেমনই মঙ্গলবার বীরভূমের লাভপুরের বিপ্রটিকুরী, নানুর সহ কয়েকটি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের মাইকিং করে ক্ষমা প্রার্থনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম জেলা রাজনীতি।

Advertisements

মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের লাভপুরের বিপ্রটিকুরী গ্রামে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মাইকিং করে প্রচার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাদের বক্তব্য, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উন্নয়নমূলক কাজের বিপক্ষে ভুল তথ্য পেশ করে এলাকায় উত্তেজনা এবং গন্ডগোলের সৃষ্টি করেছিলাম। যেগুলি ছিল ভিত্তিহীন এবং সর্বতোভাবে মিথ্যা। পাশাপাশি আমরা এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছি এবং প্রতিশ্রুতি বদ্ধ আগামী দিনে এমন কাজ আর করবো না। আমরা আগামী দিনে যেন মা মাটি মানুষ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের শামিল হতে পারি সেই সুযোগ দেওয়া হোক।’

Advertisements

আর এর পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “শুধু লাভপুর নয়, নানুর, দুবরাজপুর রাজনগর অনেক জায়গাতে এরকম ঘটনা ঘটেছে। ওদের বক্তব্য আমরা ভুল করেছি। এই দলটা ফেরেক্কাবাজ দল, শুধু মিথ্যা কথা বলে। ওরা নিজেরা ভুল বুঝে ফিরে আসছে।”

Advertisements

তৃণমূলের ফিরে আসা প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “হ্যাঁ, আসুক না। একটা গোয়েলে ২০টা গরু থাকে। পাঁচটা গরু দড়ি ছিঁড়ে যদি বাইরে চলে যায় আবার সকাল বেলায় খুঁজে এনে গুঁজে বাধা হয় না? আবার গুঁজে বেঁধে দেওয়া হবে। কোন চিন্তা নায়।” তাঁর কথায়, ‘গোয়েল থেকে পালানো গরুদের ফিরিয়ে গুঁজে বেঁধে দেওয়া হবে’।

যদিও এই সকল ঘটনাকে নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে দাবি করেছেন। তার কথায়, “ঐসকল এলাকাতে মানুষের গণতন্ত্র বলে কিছু নায়। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছু নায়। যে কারণে যে সকল গরীব মেহনতী মানুষের বিজেপিকে সমর্থন করেছিল তাদের আজ বাড়ি ফেরার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে হচ্ছে।”

Advertisements