‘নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ পালিয়ে গেল’, সভা বাতিল নিয়ে কটাক্ষ অনুব্রতর

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামীকাল সিউড়ি সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চারটি জনসভা বাতিল হওয়ার খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সভা বাতিলের খবর পেয়েই তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ পালিয়ে গেল’। অন্যদিকে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবারই বোলপুরে রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি জনসভা।

Advertisements

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার টুইট করে জানান, “দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামীকাল একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর সেই বৈঠকে কারণে আমি বাংলায় আসতে পারবো না।” প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, আজ অমিত শাহেরও পশ্চিমবঙ্গে যে তিনটি জনসভা ছিল তার মধ্যে একটি বাদে বাকি দুটি জনসভা বাতিল করা হয়। কারণ তিনিও ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন।

Advertisements

তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এইসকল সভা বাতিল প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি কটাক্ষ করে বলেন, “নরেন্দ্র মোদিও পালিয়ে গেল, অমিত শাহও পালিয়ে গেল। হারছে বুঝেই নরেন্দ্র মোদি সিউড়ির মিটিং ক্যানসেল করলো আর অমিত শাহর তিনটে মিটিং ছিল একটা মিটিং করে পালিয়ে গেল। বুঝতে পেরেছে বাংলায় মমতা ব্যানার্জি ছাড়া আর কেউ নাই।”

Advertisements

[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে এদিন ষষ্ঠ দফার ভোট নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা যায়। কারণ ষষ্ঠ দফার ভোটে পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা রয়েছে তার দায়িত্বে। ষষ্ঠ দফার ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সুন্দর ভোট হয়েছে। তিনটে সিট বিপুল ভোটে জিতে গিয়েছি। আজকের দফায় ভোট হল তাতে একটাও বিজেপি পাবে না। নরেন্দ্র মোদি পালিয়ে গেল, অমিত শাহও পালিয়ে গেল। কেন আগে ১৮০ হয়েছে, ১৪৫ থেকে ১৫০ আমরা পেয়ে গেছি।”

প্রসঙ্গত, এর আগে অনুব্রত মণ্ডল সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীদের বাংলায় করোনা বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে দায়ী করা হয়েছিল। কখনো ৮ দফা ভোট, কখনো বাইরে থেকে আসা বিজেপির নেতা নেত্রীদের জন্য রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনও অভিযোগ করা হচ্ছিল।

Advertisements