চন্দন কর্মকার : ISF দলনেতা আব্বাস সিদ্দিকী গতকাল জোটের ব্রিগেড সমাবেশে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন। জোটের এই ব্রিগেড সমাবেশ হলেও তিনিই যেন সমাবেশের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন। আর এরই পরে জানা যায় বীরভূমের এক থেকে দুটি আসন বামফ্রন্ট আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে ছাড়তে চলেছে। আর এই প্রসঙ্গকে অনুব্রত মণ্ডল কোনরকম পাত্তা দিতে চান না বরং আব্বাস সিদ্দিকী সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
আব্বাস সিদ্দিকীকে সিট ছাড়ার প্রসঙ্গ উঠলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ওকে কি কেউ মানে নাকি? এখানকার মুসলমানরা তো রয়েছে পাশেই রয়েছে। মান্নান দাকে জিজ্ঞেস করো না, আব্বাস সিদ্দিকীকে মানে কি না? দুটো কেন, এগারোটা সিটের মধ্যে দশটা ছেড়ে দিক কেন। বামেদের তো কিছু নাই।”
আর এর পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে আব্বাস সিদ্দিকীকে যদি বীরভূমে কোন সিট ছেড়ে দেয় বামফ্রন্ট তাহলে সেক্ষেত্রে মুসলিম ভোটের কি কোনো প্রভাব পড়বে? এই প্রশ্ন শুনে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কেন প্রভাব পড়বে? দুদিন আগে কেউ একটা দল করে গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব ফেলে দেবে? কাল যদি মান্নান দা একটা দল করে দেয় আর বলে আমি মুসলিম তাহলে গোটা বাংলায় প্রভাব ফেলে দেবে? আব্বাস সিদ্দিকীকে কোন ভাবেই রাখা দরকার নাই। কোন গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নাই। গুরুত্ব দিতে যাবো কেন?”
[aaroporuntag]
অন্যদিকে সোমবার থেকে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সাথে কথা বলা শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “নির্বাচন কমিশনের লোক বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করবে, না দরজায় দরজায় গিয়ে জিজ্ঞেস করবে ওতে আমি ইন্টারেষ্টিং নয়। না গোয়েলে গোয়েলে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে আমার দেখার দরকার নাই।”
মোটের উপর অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, আব্বাস সিদ্দিকীকে মুসলিমরা কেউ মানে না। পাশাপাশি ভোটের দুদিন আগে দল করে কিছু করে নিতে পারবে না বলেও মনে করেন অনুব্রত মণ্ডল।