নিজস্ব প্রতিবেদন : পরপর দু’বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিআইএ’র তরফ থেকে তলব পেলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে এই দু’বারের তলবের পরও তিনি হাজির হলেন না। বরং তিনি CBI তলব এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে রক্ষাকবচ পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও সেই মামলার শুনানির আগেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এসএসকেএমে নিয়ে ভর্তি হন।
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পর পর দু’বার সিবিআই তলব করে মূলত ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিনই বীরভূম ইলামবাজার থানার অন্তর্গত গোপালনগরে খুন হন বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। সেই খুনের ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় ২০-র বেশি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং তাদের প্রত্যেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করল সিবিআই।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ প্রথম সিবিআই-এর তরফ থেকে তাঁকে তলব করা হয়। কিন্তু সে সময় তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান। এরপর ফের আরও একবার সিবিআই-এর তরফ থেকে তাকে তলব করা হয়। এই গলৱ থেকে রক্ষাকবচ পেতে বুধবার অনুব্রত মণ্ডল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আর কলকাতাতে থাকা অবস্থাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে।
এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডল রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অনেক সময় ভোগেন। এরই মধ্যে বুধবার সিবিআইয়ের তলব পাওয়ার আদালতে রক্ষাকবচ পেতে গেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডল তদন্তের ক্ষেত্রে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যেন তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ না হয়। এই মামলার শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।