অমরনাথ দত্ত : বোলপুরে এসে অমিত শাহ শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটির বাসিন্দা বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে সেরেছিলেন মধ্যাহ্নভোজন। কিন্তু তিনি ফিরে যেতেই একরাশ ক্ষোভ নিয়ে ওই বাউল শিল্পী বাসুদেব দাস অনুব্রত দুয়ারে হাজির হন। সেখানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মনের কথা বলতে না পারায় ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ ওই বাউল শিল্পী অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছান। আর ক্ষোভ উগরে বলেন, “আমার মেয়ে এমএ পাস করে বসে আছে। তার পড়াশোনার জন্য আমি কিছু বলবো ভেবেছিলাম। কিন্তু উনি এলেন। খাওয়া-দাওয়া করলেন আর চলে গেলেন। আমাকে বলার সুযোগটাই দিলেন না। আমার খারাপ লাগলো উনি আমার বাড়িতে এলেন আর আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না।” পাশাপাশি তিনি এটাও অভিযোগ করেন, “অমিত শাহ চলে যাবার পর বিজেপির কোন কর্মীরা তার বাড়ি গিয়ে বা তার সাথে যোগাযোগ করে কোন রকম খোঁজ খবর নেননি।”
এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “অমিত শাহ এসে উনার বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করলেও উনি অমিত শাহকে নিজের মনের কথা কিছু বলতে পারেননি। নাটক করতে এসেছিলেন আর নাটক করে চলে গেছেন। ওর মেয়ে ডিএড করতে চায়। তাই আমি প্রলয় নায়েককে বলেছি যেন ওর মেয়ের ডিএডটা করিয়ে দেয়। কারণ ডিএড করতে দেড় লক্ষ টাকা লাগে। ওই টাকাটা ওরা কোথায় পাবে!”
তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার অভিযোগ, “এই ঘটনা নতুন কিছু না। এর আগেও অমিত শাহজি যেখানে যেখানে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছেন সেই সমস্ত হতদরিদ্র পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে হয় তৃণমূলে যোগ করানো হয়েছে অথবা বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলানো হয়েছে। ২০২১-এর পরে এই সমস্ত হত দরিদ্র পরিবারগুলিই তৃণমূলের চাপ সৃষ্টি করার বাস্তবতা প্রকাশ্যে আনবেন। আর বাসুদেব বাউলের ক্ষেত্রে কি করা হয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে উনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে। উনি খুব আতঙ্কের মধ্যেই সেখানে বুলি আওড়াচ্ছেন।”