নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্য লক্ষ্মীরতন শুক্লার রাজনীতিতে পদার্পণ তৃণমূলের হাত ধরেই। তৃণমূলের হাত ধরেই তিনি বিধায়ক এবং বিধায়ক থেকে পেয়েছেন মন্ত্রিত্ব। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ করেই তিনি মন্ত্রিত্ব ও হাওড়া জেলা (সদর) তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন একাধিক নেতানেত্রী তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন সেসময় লক্ষ্মীরতন শুক্লার মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই তাৎপর্য বহন করছে।
আর লক্ষ্মীরতন শুক্লার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সামনে প্রশ্ন করা হলে তার সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘দুটো ভেড়া কমে গেলে কিছু বয়ে যায়না’। মঙ্গলবার মুরারই-১ ব্লকের পলসা কারবালা মাঠে অনুব্রত মণ্ডলের সভা শেষে সাংবাদিকরা লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগের পর প্রশ্ন করা হলে এমনই মন্তব্য শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলের মুখ থেকে।
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “গ্রামে দেখবেন বড় বড় চাষির ঘরের মাঝে মাঝে দেখবেন ভেড়ার পাল যায়। আবার দেখবেন আস্তে আস্তে কোন একটা পরব এলে গ্রুপ থেকে ভেড়া কমে যায়। কি বয়ে যায় মালিকের। গোয়ালের কি বয়ে যায়, ভেড়ার গোয়ালের।”
এই ঘটনায় দলের কোনো ক্ষতি হবে না তো? উত্তরে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “ওই তো বললাম, মাঝে মাঝে দেখবেন চাষীর ঘর থেকে দেখা গেল ৩০টা ভেড়ার পাল বেরিয়ে গেল। সেখান থেকে কোন একটা পরব এলো, উৎসব এলো অন্য দুটো ভেড়া কমে গেল। কিছু বয়ে যায় চাষির?”
অর্থাৎ লক্ষ্মীরতন শুক্লা প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের থেকে এই যা উত্তর এদিন মিলেছে তাতে তিনি আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ দলের কোন ক্ষতি করবেন না। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের কথায় পরিষ্কার, যেসকল তৃণমূল নেতানেত্রীরা দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাচ্ছেন তাদের দল ত্যাগের জন্যও তৃণমূলের কিছু এসে যায় না।