লাল্টু : মঙ্গলবার রাতে মঙ্গলকোটের নিগন গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ খুন হন। এই ঘটনায় সঞ্জিত ঘোষের পরিবারের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বুধবার দুবরাজপুরে তৃণমূলের জনসভা থেকে প্রকাশ্যে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাড়ি থেকে বেরোতে দেবো না, বেরিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দেবো’।
অনুব্রত মণ্ডল এদিন সভা মঞ্চ থেকে বলেন, “কাল মঙ্গলকোটে আমাদের এক বুথ কর্মী রাত একটার সময় যখন বাড়ি যাচ্ছিল তাকে একা পেয়ে পিটিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছে। আমি মিটিং ছিল বলে যেতে পারলাম না। আমি চন্দ্রনাথ সিনহাকে পাঠিয়েছি।” এর পরেই অনুব্রত মণ্ডলের মুখ থেকে শোনা যায় কড়া হুঁশিয়ারি। আর সেই হুঁশিয়ারি অবশ্যই গেরুয়া শিবিরকে লক্ষ্য করে।
বলে ওঠেন, “যদি কোন বিজেপি কর্মী ভেবে নেয় আমরা এই ধরনের কাজ করবো। তাহলে বাড়ি থেকে বেরোতে দেব না। বেরিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দেবো। পারলে কিছু করে নেবেন। সাবধান। আমি নোংরামি রাজনীতি করি না। যদি আপনি নোংরামি রাজনীতি করেন আমি রাজি আছি। যখন বলবেন আমি তখনই রাজি আছি। রাজনীতি করার সবারই অধিকার আছে। রাজনীতি করুন, খুনের রাজনীতি করবেন না। হুঁশিয়ারি দিলাম।”
এর পরেই অনুব্রত মণ্ডল চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, “হুঁশিয়ারিতে যদি না হয়, যদি চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করলাম। হিম্মত থাকলে লড়ে নিন আপনি। যত বড়ই মস্তান হোক আর যত বড় লাট সাহেব হোক। সে যদি ভেবে নেয় আমি যা মন তাই করবো তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আমি অনুব্রত মণ্ডল, আমি মৃত্যুর ভয় করিনা। আগেও করি নাই, এখনো আমি মৃত্যুর ভয় করিনা। ছাড়বো না, কোন কর্মীর গায়ে যদি হাত পরে এক বিন্দু ছাড়বো না।”
পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডল অভিযুক্তদের গ্রাম ছাড়া করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে। বলেন, “সন্ত্রাস করে যদি এভাবে মানুষ খুন করবো তাহলে ওরা গ্রামেই থাকতে পারবে না। গ্রাম ছাড়া করে দেবো। একধার থেকে গ্রামছাড়া করে দেবো।