নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘বীরভূমের বাঘ’ এখন তিহার বন্দি। গরু পাচার কাণ্ডে গত বছর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখনো রেহাই পাননি। বরং দিন দিন তিনি যেন জালে জড়িয়ে পড়ছেন। রেহাই পাওয়া তো দূরের কথা বরং দিন দিন যেভাবে জটিল হচ্ছে এই মামলা তাতে কবে তিনি রেহাই পাবেন তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলকে বাংলা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লিতে। এর পাশাপাশি গরু পাচার মামলাও আগে বাংলাতে থাকলেও তাও এখন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লি। এই ভাবেই রীতিমত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্যাচে জড়িয়ে পড়ছেন বীরভূমের একসময়ের দুর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা। এরই মধ্যে পুজোর আগে আবার চিন্তা বাড়লো এই নেতাকে নিয়ে। চিন্তা বাড়ছে অনুব্রত মণ্ডল অনুগামীদের মধ্যে।
গত বছর রাখি পূর্ণিমার দিন অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার পূজো কেটেছে, জেলের মধ্যেই। এরপর এক বছর কেটে গেলে অনেকেই আশা করছিলেন এবার হয়তো তার পুজো কাটতে পারে গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু কোথায় সেই আশা! বরং তা নিয়ে দিন দিন জোরালো হচ্ছে আশঙ্কা। মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিন যাতে দেওয়া হয় তার জন্য শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। এই শুনানির দিকে অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন।
কিন্তু শুনানির দিকে অনেকে তাকিয়ে থাকলেও শুনানির দিন অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকার কারণে আদালতে আসতে পারেন নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবীর তরফ থেকে এই মামলার শুনানির জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয়। ফলে এই মামলার শুনানি আরও পিছিয়ে যায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ অক্টোবর। অন্যদিকে পুজো ঠিক তারপর দিন।
মঙ্গলবারের শুনানি না হওয়ার ফলে এখন অনুব্রত অনুগামীরা তাকিয়ে রয়েছেন ১৯ অক্টোবরের দিকে। কেননা ঐদিনই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে অনুব্রতর, ভাগ্য নির্ধারণ হবে এবারও কি তার পুজো জেলে কাটবে নাকি গ্রামের বাড়িতে। তবে গরু পাচার মামলায় আপাতত আশার আলো যোগাচ্ছে অনুব্রতর সিএ মনীশ কোঠারির জামিন। কেননা এই মামলায় তিনি প্রথম কোন ব্যক্তি যিনি জামিন পেয়েছেন।