নতুন দিল্লী: মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরছে’। তৃণমূল নেতাকর্মী এবং অনুব্রত মণ্ডল অনুগামীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট করে চলেছেন। আসলে তাদের এমন পোষ্টের পিছনে রয়েছেন কেষ্টকন্যা সুকন্যা (Sukanya Mondal)। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়। গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ১৫ মাস পর তিনি জামিন পেলেন।
সুকন্যা মন্ডল পুজোর আগেই জামিন পাবেন এই জল্পনা বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল। আর সেই জল্পনার পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার সবার নজর ছিল আদালতের দিকে। প্রত্যাশা মতই তিনি জামিন পেয়েছেন। আর এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরছে’। তবে জামিনের ক্ষেত্রে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণা যে ৭টি শর্ত রেখেছেন তাতে জামিন পেলেও পদে পদে চাপ বেড়েছে সুকন্যার।
১) সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লি হাইকোর্ট জামিন দেয় ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে।
২) ইডির মামলায় সুকন্যা মণ্ডল জামিন পেলেও তাকে শুনানির সময় নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
৩) সুকন্যা মণ্ডলকে তার মোবাইল নম্বর দিতে হবে তদন্তকারী অফিসারকে। মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করলে সেক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে। মোবাইল নম্বর এমন দিতে হবে যেন সেটি সক্রিয় থাকে এবং তাকে ফোন করলেই পাওয়া যায়।
৪) দিল্লিতে তিনি কোথায় থাকছেন অর্থাৎ তাকে সব সময় কোথায় পাওয়া যাবে তা জানিয়ে রাখতে হবে তদন্তকারী অফিসারকে।
৫) বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সুকন্যা মন্ডলের উপর বেশ কিছু বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি কোনোভাবেই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন : Digha Helicopter Service Fare: দীঘায় হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হলে ভাড়া কত হবে, রইল চার্ট
৬) এই মামলায় যারা সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন তাদের কারো সঙ্গে দেখা করা যাবে না। সাক্ষীদের সঙ্গে দেখা করে প্রভাব খাটানো অথবা তাদের হুমকি দেওয়া যাবে না। সাক্ষীদের সঙ্গে পুরোপুরি ভাবে নিজেকে আলাদা রাখতে হবে।
৭) কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে হবে না। জামিন দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন শর্ত রেখেছে আদালত। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আদালত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।