অনুব্রত মন্ডলের কর্মিসভায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ তৃণমূল কর্মীর

লাল্টু : একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বৃহস্পতিবার দুবরাজপুরে ছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) একটি কর্মীসভা। দুবরাজপুর ব্লকের গোহালিয়ারা, যশপুর এবং চিনপাই এই তিনটি অঞ্চলের প্রতিনিধিদের নিয়েছিল এই কর্মীসভায়। এই কর্মীসভাতেই ভোটে পিছিয়ে থাকার কারণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মী প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।

গোহালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫৫ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি সপ্তম মন্ডলকে এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি কর্মীসভা চলাকালীন জিজ্ঞাসা করেন কেন এলাকায় ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল? আর এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সপ্তম মন্ডল জানান, ভোটে পিছিয়ে থাকার অনেক কারণ রয়েছে।

অনুব্রত মণ্ডল সাথে সাথে জিজ্ঞাসা করেন কি কি কারণ রয়েছে?

আর এর উত্তরে সপ্তম মন্ডলের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এলাকায় দলীয় কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। এর পাশাপাশি ওই তৃণমূল বুথ সভাপতি জানান, তার এলাকায় বর্ষাকালে একটিও ত্রিপল আসেনা। এছাড়াও রয়েছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ না পাওয়ার কারণ। এলাকার বেশ কিছু যুবকের কার্ড থাকা সত্ত্বেও তারা কাজ পাচ্ছেন না। আর এই সকল কারণ তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, “যদি নুন্যতম একটি ট্রিপল দিতে না পারি তাহলে ভোট চাইতে যাবো কি করে?”

যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে আনার জন্য বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওই বুথ সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন অনুব্রত মণ্ডল ধীর-স্থিরভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেন এবং ওই কর্মীকে বলেন, “এই ভোট পঞ্চায়েত ভোট নয়, এই ভোট মিউনিসিপ্যালিটি ভোট নয়। এই ভোট মমতা ব্যানার্জির ভোট। মমতা ব্যানার্জি অনেক উন্নয়ন করেছে সুতরাং উনি কি দোষ করলেন?”

এর পাশাপাশি কর্মী সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, “পাগলে অনেক কিছু বলে, ছাগলে অনেক কিছু খায়।” প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ বীরভূমে এসে বলে গিয়েছিলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমে বিজেপি অধিকাংশ আসন পাবে। সাধারণ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে যেতে হবে আর তৃণমূল চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে দেখবে।”